খুলনার রূপাসায় যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিকের কর্মী ও বিএনপির অপর একটি গ্রুপের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতদের রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) উপজেলার কাজদিয়া বাজারে ওবায়েদ ফার্মেসির সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক নির্বাচনি গণসংযোগের জন্য রূপসা উপজেলা সদরে আসার কথা ছিল। তার আগমনের পূর্ব মুহূর্তে তার সমর্থকরা কাজদিয়া বাজারে ওবায়দুল ফার্মেসির সামনে অবস্থান করছিলেন।
এ সময় আকস্মিকভাবে বিএনপি’র অপর একটি গ্রুপ—যারা নিজেদের দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগের হামলা-মামলার শিকার ‘রাজপথের কর্মী’ দাবি করেন—পারভেজ মল্লিকের সমর্থকদের সঙ্গে তাদেরকে উক্ত অনুষ্ঠানে দাওয়াত না দেওয়ায় বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে পারভেজ মল্লিক সমর্থক শাহাজাদা আলমগীর (৩৭), শান্ত শেখ (৩৪), ইমরান শেখ (৩৩), বুলু শেখ (৪০) আহত হন এবং অপর পক্ষের জাহিদুর রহমান (৩৫) জখমপ্রাপ্ত হন। ঘটনার পর আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। প্রায় দুই ঘণ্টা পর বিএনপি নেতা পারভেজ মল্লিক উপজেলা সদরে পৌঁছালে দুই গ্রুপের মধ্যে আবারও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ওমর ফারুক (৭০), আকরাম শেখ (৫০) ও আনিসার শেখ (৫৫) শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও প্রহৃত হন।
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে শান্ত শেখ বলেন, ‘বিএনপি নেতা পারভেজ মল্লিকের আগমন উপলক্ষে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় হেলাল ভাইয়ের সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করে জখম করেছে।’
এদিকে টিএসবি ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপির রাজনৈতিক সমাবেশ সম্পর্কে পূর্ব থেকে স্থানীয় বিএনপি বা কাউকে কিছু জানানো হয়নি। আজিজুল বারী হেলাল ভাইয়ের সমর্থনে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে একটি মিছিল নতুনহাট থেকে উপজেলা সদরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। এ সময় আজিজুল বারী হেলালকে উদ্দেশ্য করে কতিপয় যুবক কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে। এর প্রতিবাদ করায় পারভেজ মল্লিকের সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা চালায়।’
এ ব্যাপারে রূপসা থানার ওসি মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান জানান, একটি রাজনৈতিক সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হলে থানা পুলিশের নেতৃত্বে অতি দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।


