‘আপনি নন্দিত লোকটি নিন্দিত হয়ে বিদায় নেন আমরা মনে কষ্ট পাব। ইতিহাসে আপনার নামটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকুক যে, আপনি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদের মতো একটি নির্বাচন দিয়েছেন, আপনি দিনের ভোট দিনে করেছেন, আমার ভোটের অধিকার আপনি প্রতিষ্ঠিত করেছেন, ইতিহাস লেখা থাকবে।’
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের ‘পদত্যাগের আলোচনা’র খবরে এ কথা বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।
শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে এক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সেই ইতিহাসে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আপনাকে নিয়ে অহংকার করতে পারবে। তাই আপনার কাছে অনুরোধ অনতিবিলম্বে এই তিনজনকে (আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, মাহফুজ আলম ও খলিলুর রহমান) উপদেষ্টা পরিষদ থেকে আপনি চিঠি দিয়ে দেন, অনুরোধ করেন তারা যেন পদত্যাগ করে।’
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় বিলম্বই দেশে অস্থিরতার কারণ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।
তিনি বলেন, ‘দেশে যেন একটা অস্থিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই অস্থিরতার মূল হোতা কারা, এই অস্থিরতা সৃষ্টি কারা করছে, কারা নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চাচ্ছে এই বিষয়গুলো তো আমরা আপনার (মুহাম্মদ ইউনূস) মতো মহান ব্যক্তির কাছে জানতে চেয়েছিলাম।’
‘আপনি না কি বলেছেন, জুলাইতে নির্বাচন হবে। জুলাইয়ে হবে, না ডিসেম্বরে হবে, রোডম্যাপ দিয়ে দিলেই তো যারা আন্দোলনে ছিলাম, যারা হাসিনার আমলে আয়নাঘরে ছিলাম, যারা আন্দোলন করে লক্ষ লক্ষ মামলা খেয়েছেন, তারা আপনার সাথে বসতে পারত। কিন্তু এখনো তো নির্বাচনের রোডম্যাপটা ঘোষণা করলেন না।’
ফারুক বলেন, ‘তাই আমরা মনে করি এই অস্থিরতার কারণ আপনারা যদি সৃষ্টি করে থাকেন তাহলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কোনোদিনও গ্রহণ করবে না। অবিলম্বে সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিও জানান ফারুক।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’ সংগঠনের উদ্যোগে ‘জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র রুখে দাঁড়াও দেশবাসী’ শীর্ষক এই মানববন্ধন হয়।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, সংস্কার করেন কিন্তু এমন সংস্কার কইরেন না যেই সংস্কারের মধ্য দিয়ে করিডোর হবে, চট্টগ্রাম বন্দর অন্যের হাতে চলে যাবে। এমন সংস্কার কইরেন না যে সংস্কারের মধ্য দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা নির্বাচনকে বিলম্বিত করে আপনাদের অস্থির করে তুলবে। তাই আপনার অস্থিরতার কাটাতে হলে আজ-কাল-পরশুর মধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
অপরাজেয় বাংলাদেশের সহ-সভাপতি এম এ আজাদ চয়নের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন সিরাজীর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আপনার মতামত লিখুন :