একটা গোষ্ঠী নতুন রঙ্গিলা বাক্স নিয়ে হাজির হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
রোববার (৬ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ গণজাগরণ দলের প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, দেশে নতুন আরেকটা রঙ্গিলা বাক্স নিয়ে হাজির হয়েছে একটা গোষ্ঠী। এই রঙ্গিলা বাক্সটা হচ্ছে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। পিআর পদ্ধতি যেসব দেশে আছে, সেসব দেশে কোনো একটি দেশেও স্থিতিশীল সরকার নেই। স্বাভাবিক গতির সরকার নেই। বেলজিয়াম ও ইসরাইলেও আছে। ইসরাইলের নাম বললে আর কোনো দেশের কথা বলা লাগে না। এই পিআর পদ্ধতি নির্বাচনের আরও অনেক ব্যাখ্যা রয়েছে।’
আলাল বলেন, ‘একটা জিনিস সবাইকে পরিষ্কারভাবে বুঝতে হবে, তা হলো একটি পুরাতন বিল্ডিং ভেঙে ফেলতে হলে তার আগে ওই জায়গায় কী করবেন সেটার পরিকল্পনা নিতে হবে। এখন বিল্ডিং ভেঙে ফেললেন, কোনো পরিকল্পনা নেই, তাহলে ওই জায়গাটা ফাঁকা হয়ে যাবে। আর ফাঁকা জায়গায় ঝড়-বৃষ্টি, টর্নেডো হয়। সে টর্নেডো ঝড়ের প্রত্যাশা নিয়ে পিআর-এর পক্ষে কারা কারা আছেন সেটা নিয়ে আমাদের গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে।’
শেখ হাসিনা পালানোর আগে তার আত্মীয়-স্বজনদের ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছিল উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, ‘শেখ হাসিনা তার আত্মীয়-স্বজনদের আগে জানিয়ে দিয়েছিল বলেই তারা কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।’
আলাল বলেন, ‘কোনো গণমাধ্যমে এ তথ্য আসেনি। অথচ এই তথ্যটা আরও বেশি বেশি প্রচার হওয়া দরকার ছিল। যে শেখ হাসিনা ২ আগস্ট তার আত্মীয়-স্বজনদেরকে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েছিল যে তোমরা যে যেভাবে পারো দেশ ছেড়ে চলে যাও। দেশ থেকে বিদেশে পালাও। যে কারণে তার কোনো আত্মীয়-স্বজন গ্রেপ্তার হয়নি। সবাই নিরাপদে দেশ থেকে পালিয়ে গেছে।’
দেশে নতুন করে রাজনৈতিক জোট পাকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘যারা আন্দোলনের সঙ্গে ছিল এবং যে যুবকরা নতুন দল গঠন করেছে, তাদের সংশোধন হওয়ার জন্য বলি, এটা শুধু ছাত্রদের আন্দোলন ছিল না। এ আন্দোলনের সঙ্গে ছাত্রীরাও জড়িত ছিলেন, তাদের মা-রাও জড়িত ছিলেন।’
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘এটা হবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। শুধু ছাত্রদের আন্দোলন না। এর পিছনে প্রেরণা ও শক্তি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বে যে জোট, সেই জোট ছিল এর পেছনের শক্তিদাতা।’
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি শহীদের সংখ্যা বিএনপিতে, সবচেয়ে বেশি আহত সংখ্যা বিএনপিতে, সবচেয়ে বেশি গুমের সংখ্যা বিএনপিতে কিন্তু আমরা এই কৃতিত্বের দাবি করি না। আমরা মনে করি বিএনপির এটা করা উচিত ছিল, করেছে।’
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক এমপি মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, সংগঠনটির সভাপতি হাবিব আহমেদ আশিক, সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম মনির, ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :