বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক বলেছেন, নির্বাচন ব্যবস্থায় সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি নিয়ে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মুখোমুখি অবস্থান উদ্বেগজনক। তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে যে ন্যূনতম ঐক্য রয়েছে, সেটি ভেঙে যাক, এমনটা আমরা চাই না।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেলে যশোর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
যশোর জেলা খেলাফত মজলিসের আয়োজনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের ঘটনার 'গণহত্যা', পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিচার দাবি জানানো হয়।
মামুনুল হক বলেন, রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা থাকা স্বাভাবিক, তবে সেটি যেন পরস্পরকে শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করে গৃহযুদ্ধের রূপ না নেয়। বিদ্বেষ ও বিষোদ্গারপূর্ণ রাজনীতি ফ্যাসিবাদ ও একনায়কতন্ত্রের উত্থানের পথ তৈরি করে।
তিনি সব পক্ষকে ছাড় দিয়ে একটি সমন্বিত ও গণমুখী পথ খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় ভয়ানক ফাঁকফোকর রয়েছে। এই ব্যবস্থার সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে দেশে আবারও ফ্যাসিবাদ ফিরে আসতে পারে।
তিনি আরও বলেন, যদি ঐক্য বিনষ্টের ফলে আবার সেই স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ফেরার সুযোগ পান, তাহলে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না।
সমাবেশে মামুনুল হক অভিযোগ করে বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হলেও এখনো জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশিত হয়নি। এটি সরকারের দায়িত্বহীনতার ফল।
তিনি এ মাসের মধ্যেই ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবি জানান।
দেশের বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে রাজপথে রক্ত দেওয়ার প্রস্তুতির কথাও জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, প্রয়োজনে রাজপথেই আমরা রুখে দাঁড়াব।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যশোর জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি আব্দুল মান্নান। আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লা আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক নিয়ামতউল্লাহ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :