রবিবার, ০৫ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৫, ১১:২৫ এএম

নেত্রকোনা-৩ আসনে আলোচনায় রোটারিয়ান নাজমুল

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৫, ১১:২৫ এএম

জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা, জিয়া মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারি মহাসচিব রোটারিয়ান এম নাজমুল হাসান।

জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা, জিয়া মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারি মহাসচিব রোটারিয়ান এম নাজমুল হাসান।

আটপাড়া-কেন্দুয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত নেত্রকোনা-৩ সংসদীয় আসন। আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীরা। পিছিয়ে নেই বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও। আসনটিতে বিএনপির একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী রয়েছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, কর্মী সভা-সমাবেশের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন।

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন- বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম হিলালি, জেলা বিএনপির সাবেক উপদেষ্টা, জিয়া মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারি মহাসচিব ব্যবসায়ী রোটারিয়ান এম নাজমুল হাসান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান দেলাওয়ার হোসেন দুলাল ও আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা-ই-জামান সেলিম। 

সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে তৃণমূলের পছন্দ ও সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে রোটারিয়ান এম নাজমুল হাসান বেশ আলোচনায় রয়েছেন।

জেলা বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম হিলালির বিরুদ্ধে ৫ আগস্টের পর তার নাম ব্যবহার করে এলাকায় চাঁদাবাজি, দখলবাজির অভিযোগ রয়েছে। কেন্দুয়া ও আটপাড়ায় বিএনপির উপজেলা কমিটি গঠনের নানা অনিয়মের কথা শোনা যাচ্ছে। দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে আত্মীয় ও আওয়ামী লীগের লোকজন দিয়ে পকেট কমিটি গঠন করার অভিযোগে ঝাড়ু মিছিল পর্যন্ত হয়েছে। সেই তুলনায় বিগত ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রামে তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন রোটারিয়ান এম নাজমুল হাসান।

বিগত সময়ে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে একাধিকবার হামলা মামলার শিকার হয়েছেন নাজমুল হাসান। ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনেও গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা পালন করেছেন বিএনপির এই নেতা। জুলাই অভ্যুত্থানের আন্দোলনে ছাত্রদের খাবার, পানি ও ঔষধ সরবরাহ করেন।

বিগত সময়ে আন্দোলন সংগ্রাম ও দলীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে হয়েছেন একাধিক মামলার আসামি। কেন্দুয়া-আটপাড়া থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ একাধিক অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ৭টি রাজনৈতিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় তাকে একাধিবার কারাবরণ করতে হয়েছে।

রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডেও রয়েছে তার সমান অংশগ্রহণ। নিজ এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেছেন স্কুল-কলেজ। তিনি গোপালপুর মডেল কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। অসহায়, দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গড়ে তুলেছেন বেসরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। তিনি নাজমুল-আইরিন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গরীব অসহায় মানুষের চিকিৎসা সহায়তা করা হয়। এ ছাড়াও দারিদ্রদূরীকরণে আর্থিক সহায়তা ও দুযোর্গকালীন সময়ে ত্রাণ সহায়তা করা হয়। কেন্দুয়া-আটপাড়ার মানুষের বিপদে আপদে সব সময় পাশে দাঁড়িয়েছেন রোটারিয়ান নাজমুল হাসান। করোনাকালীন সময়ে এই দুই উপজেলার অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাধ্যমত আর্থিক সহযোগিত করেছেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় কেন্দুয়া আটপাড়ায় বন্যা দুর্গত ৪ হাজার পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। গরিব অসহায় মানুষদের মধ্যে ৬ হাজার কম্বল বিতরণ করেছেন।

কেন্দুয়া উপজেলার গোপালপুর গামের বাসিন্দা রোটারিয়ান নাজমুল হাসান রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসায়িকভাবে সফল। তিনি ডাইনামিক গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঢাকা চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রি সদস্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৫ সালে গণিতে এমএসসি সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর এমবিএ সম্পন্ন করেন স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে।

জিয়া পরিবারের প্রতি আস্থাশীল এই রাজনীতিবিদ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে তার নির্বাচনী এলাকায় জনমত গঠনে ব্যাপক কাজ করছেন রোটারিয়ান নাজমুল হাসান।

তিনি বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকেই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশ আমাকে রাজনীতি করতে অনুপ্রাণিত করেছে। পারিবারিকভাবে আমরা জাতীয়তাবাদী মতাদর্শে বিশ্বাসী। ১৯৯২ সালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে রাজনীতিতে পর্দাপন করি। পরে তেজগাঁও কলেজের জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই। এভাবেই কয়েক দশক ধরে বিএনপির রাজনীতি করে আসছি।’

তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে বলে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন। আমি আশাকরি বিগত দিনে আমার ত্যাগ দল মূল্যায়ন করবে। বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে আমি যদি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারি। তাহলে ৩১ দফার ভিত্তিতে এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে আমি কাজ করব।’

কেন্দুয়া-আটপাড়ার সাধারণ মানুষ মনে করেন, উচ্চ শিক্ষিত, সফল ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ রোটারিয়ান নাজমুল হাসানকে বিএনপি মনোনয়ন দিলে দীর্ঘদিন পর নেত্রকোণা-৩ আসনটি পুনরুদ্ধার করা সহজ হবে। কারণ সাধারণ মানুষ ও দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে নাজমুল হাসানের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!