ঢাকা সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫

আওয়ামী শিবিরে গ্রেপ্তার আতঙ্ক

শহিদুল ইসলাম রাজী
প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৫, ০২:৫৯ এএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন স্থগিত করার জেরে রাজধানীসহ সারা দেশে ফের গ্রেপ্তার আতঙ্কে দলটির নেতাকর্মীরা। প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তাদের। এতে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ভয়ভীতির মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন। অনেকের বাসাবাড়িতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে তল্লাশির ঘটনাও ঘটছে। ফলে গ্রেপ্তার আতঙ্কে অনেকেই ঘরবাড়ি কিংবা এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে রয়েছেন। এর একটি অংশ আত্মগোপনে থেকেও দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি ও নাশকতার অপতৎপরতা চালাতে সচেষ্ট রয়েছে বলে তথ্য পাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তবে নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীরা যাতে কোনো ধরনের অপতৎপরতায় লিপ্ত হতে না পারেন, সে জন্য রাজধানীসহ সারা দেশে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সারা দেশের রেঞ্জ ডিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও জেলার এসপিদের সতর্ক থেকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর আওয়ামী লীগের সব ধরনের নেতাকর্মীরা দ্রুত আত্মগোপনে চলে যান। দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা, সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপিদের অনেকেই বিভিন্নভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে বিদেশে চলে গেছেন। কেউ কেউ ৫ আগস্টের আগেই দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমান। নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পর অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ে ঐতিহ্যবাহী দলটি। এখন পর্যন্ত সেই অবস্থাতেই রয়েছে। বিদেশে পাড়ি জমানো আওয়ামী লীগ নেতাদের কেউ কেউ যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, বেলজিয়াম, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। তবে অধিকাংশ নেতাই রয়েছেন ভারতে। ভারতে পালিয়ে যাওয়া নেতাকর্মীদের মধ্যে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের লোকজনও রয়েছেন বলে জানা গেছে। এরপর আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৃহস্পতিবার (৮ মে) থেকে আন্দোলন শুরু করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জামায়াতে ইসলামীসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন। প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার সামনে তাদের অবস্থান ও শাহবাগ ব্লকড করেন বিক্ষোভকারীরা। এরপর আন্দোলনের মুখে সোমবার (১২ মে) আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকার।
  
এদিকে দেশে যারা আত্মগোপনে আছেন, তাদের মধ্য থেকে কেউ কেউ হঠাৎ কোনো কোনো জায়গায় দু-একটি ঝটিকা মিছিল বের করেছেন। সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর খালাতো ভাই ও আওয়ামী নেতা ডা. খন্দকার রাহাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগের দিন বুধবার (২১ মে) রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য মো. মনিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। 

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১২ হাজার ৭৭৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে মামলা ও ওয়ারেন্ট মূলে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ হাজার ৫২ জনকে এবং অন্যান্য গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৪ হাজার ৭২৪।
 
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীরা রাজধানীসহ সারা দেশে নাশকতার ছক আঁকছেন এমন তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে। ঝটিকা মিছিলের নামে কেউ যদি সংঘবদ্ধভাবে নাশকতার চেষ্টা চালায়, তাদের প্রতিহত করা হবে। নাশকতার পরিকল্পনায় আওয়ামী নেতাকর্মীরা অনলাইন যোগাযোগ বাড়িয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাইবার স্পেসে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
 
জানা গেছে, রোববার (১৮ মে) গুলিস্তানে ঝটিকা মিছিলকালে ১১ জনসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এর আগে রোববার (১৮ মে) রাতে বিমানবন্দর থেকে আটক করে রাজধানীর ভাটারা থানায় করা একটি হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় নায়িকা নুসরাত ফারিয়াকে। ১৫ মে সাবেক মেয়র তাপসের বিশেষ প্রতিনিধি এস এম কামাল হায়দারকে গ্রেপ্তার করে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর তিন দিন আগে ১২ মে মধ্যরাতে গ্রেপ্তার করা হয় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য ও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগমকে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) ভোরে টঙ্গীর বনমালা রোডে গাজীপুর আওয়ামী পরিবারের ব্যানারে মিছিলের চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
 
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি ফরিদুল ইসলাম বলেন, মিছিলের চেষ্টা করায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে। একই দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলায় রংপুর মহানগর ২৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নেছার আহমেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে বুধবার (২১ মে) রাতে নাশকতার মামলায় গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হান্নান সরদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিন বিকালে বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় সারিয়াকান্দি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাফিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, চেয়ারম্যান আব্দুল কাফি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
 
বুধবার (২১ মে) গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় দাওয়াত দিয়ে ছয়জন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, উপজেলার কালির বাজার এলাকায় অনুষ্ঠিত মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় অংশ নিতে দাওয়াত পান ইউপি চেয়ারম্যানরা। সভা শেষে উপজেলা চত্বর ত্যাগ করার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের গ্রেপ্তার করেন। ছয় চেয়ারম্যানের তিনজন বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ফুলছড়ি থানার অফিসার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, এই ছয়জন চেয়ারম্যান ফুলছড়ি থানার অধীন একটি নাশকতা মামলার আসামি। পাশাপাশি অপারেশন ‘ডেভিল হান্টের’ অংশ হিসেবে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
 
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ঢাকা এরিয়ার মধ্যে নিষিদ্ধ সংগঠন কোনো ধরনের কার্যক্রম করতে পারবে না। এর জন্য এসপিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ করার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। নিষিদ্ধ সংগঠনের কোনো কার্যক্রম ঢাকায় চলবে না।

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানান, গত এক সপ্তাহে খুলনার বিভিন্ন জায়গা থেকে অন্তত ৪০-৪৫ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাও রয়েছেন। অনেকে নিজ বাসা-বাড়ি ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। কেউ কেউ মোবাইল ফোন বন্ধ রেখে গা ঢাকা দিয়েছেন।

খুলনা মহানগরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের এক আওয়ামী লীগ কর্মী বলেন, ‘আমরা দলের সাধারণ কর্মী। দিন আনি দিন খাই। ৫ আগস্টের পর থেকে আমি আওয়ামী লীগের কোনো কার্যক্রমে নাই। তার পরও স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারি না। সব সময় একটা আতঙ্কের মধ্যে থাকি।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা বলেন, চলমান অভিযানে অনেক ক্ষেত্রে নিরীহ কর্মীদেরও হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে। রাতের আঁধারে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু ঘরবাড়ি তল্লাশি ও ধরপাকড়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। একজন সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা এখন ঘরেই থাকতে পারছি না। পুলিশ রাতে বাড়িতে আসে, খোঁজ নেয়। পরিবারের ওপরও চাপ সৃষ্টি করছে। স্বাভাবিক জীবনযাপন একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে।’

এ বিষয়ে খুলনা জেলা ছাত্রলীগের এক নেতা বলেন, ‘আমরা সাংবিধানিক অধিকার অনুযায়ী রাজনীতি করে আসছি। কিন্তু হঠাৎ করে এভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণার ফলে আমরা সাংবিধানিকভাবে বঞ্চিত হচ্ছি। দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের মত প্রকাশের অধিকার হুমকির মুখে পড়েছে।’ খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক তৈমুর ইসলাম বলেন, শুধু নির্দিষ্ট অভিযোগ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযান চালানো হচ্ছে। কোনো নিরীহ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হচ্ছে না। হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ময়মনসিংহে ১১ এমপিসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে রয়েছেন। জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ায় এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেয়রদের ক্ষমতাচ্যুত করা দলের নেতারা নিজেদের মোবাইল ফোনও বন্ধ রেখেছেন। বাড়িতে খোঁজখবর নিয়েও কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের একাধিক নেতাকর্মী জানান, এমপি বা জেলার শীর্ষ নেতারা কে কোথায় আছেন, কেউ জানি না। কারও সঙ্গে যোগাযোগও নেই। শুধু জেলার নেতারাই নন, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারাও ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিলেও সেসব অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি।
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার অনেক দিন গা-ঢাকা দিয়ে ছিলেন। অবশেষে পুলিশ তাকে নওগাঁ থেকে গ্রেপ্তার করে। এখন তিনি জেলহাজতে রয়েছেন। রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল আলম বেল্টু আত্মগোপনে রয়েছেন এবং সহসভাপতি ও সাবেক এমপি শফিকুর রহমান বাদশা গা-ঢাকা দিয়েছেন। তাকে মাঝে মাঝে এলাকায় দেখা গেলেও আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে চলে গেছেন। এ ছাড়া সদর আসনের সাবেক এমপি ফজলে হোসেন বাদশাকে ভারতে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। 

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টাকারীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ সচেষ্ট আছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও যদি কেউ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি বা নৈরাজ্য ঘটানোর চেষ্টা করে, অবশ্যই পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। 
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করেছে। আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম যেন করতে না পারে, সে জন্য সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারা যাতে অবৈধভাবে মিছিল বা কর্মসূচি করতে না পারে, সে জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।