শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৫, ০৮:০৭ পিএম

জামায়াত নয়, এনসিপির সঙ্গে জোট হতে পারে বিএনপির

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৫, ০৮:০৭ পিএম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি- সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি- সংগৃহীত

বিএনপির দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মিত্র বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আর কোনো জোট গঠনের সম্ভাবনা নেই বলে স্পষ্ট করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তবে তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্ভাব্য জোট গঠন নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার দরজা খোলা থাকবে।

শুক্রবার (১১ জুলাই) ইউএনবি-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

সাক্ষাৎকারে তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচন, জোট রাজনীতি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা, অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা (পিআর) এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশন– এসব বিষয়ে বিএনপির অবস্থান বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।

সালাহউদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে নির্বাচনি জোটের কোনো সম্ভাবনা আমি দেখছি না। অতীতে আমরা কৌশলগত কারণে জামায়াতের সঙ্গে একসাথে চলেছি, কিন্তু এখন আমাদের রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং জনমত অনেকটাই ভিন্ন। তাই তাদের সঙ্গে নতুন করে জোট গঠনের প্রয়োজনীয়তা নেই।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি এখন সেই দলগুলোর সঙ্গে ঐক্য গড়ে তুলতে চায়, যারা চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। আমরা একটি বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য চাই, যেখানে জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও সমর্থন রয়েছে।

সাক্ষাৎকারে সালাহউদ্দিন ইঙ্গিত দেন যে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত রাজনৈতিক সমঝোতা, জোট ও আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা চলবে। রাজনৈতিক বাস্তবতা অনুযায়ী বিএনপি কৌশল নির্ধারণ করবে।

তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, রাজনীতিতে জনসমর্থনই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কেউ কেউ বড় বড় কথা বললেও তাদের বাস্তব জনভিত্তি কতটুকু আছে, সেটাও দেখতে হবে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দীর্ঘ আলোচনায় অসন্তোষ প্রকাশ করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমার মনে হয়, এই আলোচনা অপ্রয়োজনীয়ভাবে দীর্ঘায়িত হচ্ছে। যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যেই আলোচনার একটা পরিণতি হওয়া উচিত ছিল। অযথা সময়ক্ষেপণ শুধু প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে।

তার মতে, কমিশনের কিছু কাঠামোগত দুর্বলতা ও সিদ্ধান্তহীনতা প্রক্রিয়াটিকে ধীরগতির করে তুলছে। এখন সময় এসেছে একটি সংক্ষিপ্ত উপসংহার টানার।

বর্তমান রাজনৈতিক আলোচনায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা। এ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, এই ব্যবস্থাটি কার্যত পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন শুধু সুপ্রিম কোর্টের রিভিউ রায়ের অপেক্ষা। আমরা আশা করছি, আপিল বিভাগ ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দেবে। জনগণ চায় একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট দিতে।

তবে প্রধান উপদেষ্টার বিষয়ে এখনো আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি। সাবেক প্রধান বিচারপতি হবেন কি না, কিংবা অন্য কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকে আনা হবে কি না তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি, যোগ করেন সালাহউদ্দিন।

বর্তমান প্রস্তাবিত পিআর ব্যবস্থা নিয়ে বিএনপি যে অবস্থানে রয়েছে তা অত্যন্ত পরিষ্কার করে তুলে ধরে সালাহউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে এমন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংস্কৃতি এখনো গড়ে উঠেনি, যেখানে পিআর ব্যবস্থা কার্যকর হতে পারে। এটি সরাসরি ভোটারের সঙ্গে তাদের প্রতিনিধি দলের বিচ্ছিন্নতা তৈরি করে।

তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ভোটাররা সাধারণত তাদের স্থানীয় পরিচিত প্রার্থীকে ভোট দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কিন্তু পিআর পদ্ধতিতে এমনও হতে পারে, একটি এলাকায় একটি দল বেশি ভোট পেলেও অন্য জেলার কাউকে নির্বাচিত করা হয়। এটা গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী।

সাক্ষাৎকারে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেন বিএনপির এই নেতা। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এখন আর কোনো রাজনৈতিক দল নয়, তারা একটি অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে। ১৯৭৫ সালের আগ থেকে তারা কখনোই গণতন্ত্র চর্চা করেনি। গণতন্ত্র তাদের রক্তে নেই।
 

Shera Lather
Link copied!