বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ মধ্যরাতের পরে অথবা আগামী শুক্রবার সকালের মধ্যে তাকে লন্ডনে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
এই সফরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকবেন ৬ জন চিকিৎসকসহ মোট ১৪ জন। তবে সবচেয়ে চোখে পড়ার বিষয় হলো, দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগম এবারও খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকবেন। ফাতেমা ২০১৮ সালে স্বেচ্ছায় বেগম জিয়ার সঙ্গে কারাগারেও ছিলেন। এছাড়াও সফরে থাকবেন আরেক গৃহপরিচারিকা রুপা শিকদার।
ফাতেমা প্রায় দুই দশক ধরে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কাজগুলো দেখাশোনা করছেন। ৪০ বছর বয়সী ফাতেমা বেগম চেয়ারপারসনের দৈনন্দিন কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। দেশের ভেতর বা বিদেশ—খালেদা জিয়ার সঙ্গে তিনি সবসময় থাকেন। চলতি বছরে খালেদা জিয়ার লন্ডন সফরেও তিনি সফরসঙ্গী ছিলেন।
২০১৮ সালে প্রথম আলোচনায় আসেন ফাতেমা। তখন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাজা চলাকালে তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করা হয়েছিল। এরপরও ফাতেমা জেলাসহ হাসপাতালে খালেদা জিয়ার পাশে ছিলেন।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা বলেন, ফাতেমার প্রতি চেয়ারপারসনের আস্থা ও মমত্ববোধ প্রবল। তিনি সবসময় খালেদা জিয়ার পাশে থাকেন এবং প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো মনে করিয়ে দেন। খালেদা জিয়ার দৈনন্দিন কাজ এবং ব্যক্তিগত রুটিনের জন্য ফাতেমা অনস্বীকার্যভাবে প্রয়োজন।
ফাতেমা বর্তমানে ঢাকার শাহজাহানপুরে তার বাবা-মার সঙ্গে থাকেন। তার সন্তানরাও সেখানে রয়েছেন। দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ততা এবং দক্ষতার কারণে খালেদা জিয়ার দৈনন্দিন কাজের জন্য ফাতেমা বেগমকে এই সফরে সঙ্গে রাখার আবেদন করা হয়েছে।
ফাতেমা বেগমের প্রতি চেয়ারপারসনের আস্থা অত্যন্ত গভীর। তিনি শুধুমাত্র গৃহপরিচারকাই নন, বরং খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য, দৈনন্দিন কাজ ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক। এই কারণে, দেশের বাইরে যাওয়ার সময়ও ফাতেমা খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকবেন।
রাজনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছে, খালেদা জিয়ার দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত সহকর্মী হিসেবে ফাতেমার সঙ্গে এই সফর রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত উভয় দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ।
এবারের খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডনে যাবেন—পুত্রবধূ সৈয়দা শামিলা রহমান, ডা. জাহিদ হোসেন, ডা. এনামুল হক চৌধুরী (চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা), ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী, ডা. সাহাবুদ্দিন তালুকদার, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ, ডা. মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, ডা. মোহাম্মদ আল মামুন, হাসান শাহরিয়ার ইকবাল (এসএসএফ), সৈয়দ সামিন মাহফুজ (এসএসএফ), আব্দুল হাই মল্লিক (ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সহকারী), মাসুদের রহমান (অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রাইভেট সেক্রেটারি), ফাতেমা বেগম (গৃহকর্মী), রুপা শিকদার (গৃহকর্মী)।



