দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর অংশ হিসেবে আগামীকাল বুধবার জামায়াতের প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
জামায়াতের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা-তে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এদিকে, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় যমুনা ভবনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেছে। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সাক্ষাতের পর বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগামী নির্বাচনকে অর্থবহ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে এখন থেকেই অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো কার্যকর করার পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি।
এ সময় বিতর্কিত কোনো কর্মকর্তা, বিশেষ করে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ শাসনামলে নির্বাচনি দায়িত্ব পালন করেছেন এমন কর্মকর্তাদের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন থেকে নিবৃত রাখার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি নেতারা। এ ছাড়া নির্বাচনের আগে প্রশাসনে রদবদলে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান তারা।
প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি নেতাদের জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে নির্বাচনের আগে প্রশাসনের যাবতীয় রদবদল সরাসরি তার তত্ত্বাবধানে হবে। এমনকি জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগের জন্য একাধিক ফিট লিস্ট থেকে যোগ্য কর্মকর্তাদের বাছাই করে প্রত্যেককে নির্বাচনের আগে যথাযোগ্য স্থানে নিয়োগ দেবেন বলেও জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব নিরপেক্ষ থাকা। এখানে যিনি শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পারবেন সেরকম যোদ্ধাকেই আমরা বেছে নেব। এটা আমার হাতে থাকবে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা-কিছু প্রয়োজন আমরা করব।’
বৈঠকে পুলিশের নিয়োগ এবং বদলি প্রক্রিয়া নিয়েও কিছু পর্যবেক্ষণ প্রধান উপদেষ্টার কাছে জানান বিএনপি নেতারা। পাশাপাশি, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থাপনায় একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করেন তারা। এসব ঘটনা অন্তর্ঘাতমূলক কি না এ বিষয়ে অনুসন্ধানেরও আহ্বান জানান বিএনপি নেতারা।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ। পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানও বৈঠকে অংশ নেন।