জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বাংলাদেশিদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে এবং অবৈধভাবে একের পর এক পুশইন করা হচ্ছে। তিনি দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেন, যেকোনো মূল্যে সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা হবে।
ঠাকুরগাঁও পুরাতন বাসস্ট্যান্ড গোলচত্বরে শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে ‘জুলাই পদযাত্রা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি ।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এটা হাসিনার বাংলাদেশ নয়, এটা ছাত্র-জনতার বাংলাদেশ। আমরা যেকোনো মূল্যে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন দেশ গঠনে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সারা দেশে চলছে দেশ গড়ার কর্মসূচি। জুলাই ঘোষণাপত্র, সংস্কার, বিচার ও নতুন সংবিধানের মাধ্যমে আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছি।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘মুজিব পরিবারের আমলে দেশে জমিদারি চালু ছিল, আমরা তা ভেঙে দিয়েছি। নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হলেও তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোরভাবে লড়াই করব।’
জুলাই-আগস্টে ঠাকুরগাঁওয়ে গড়ে ওঠা প্রতিরোধ আন্দোলনের জন্য তিনি স্থানীয়দের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জুলাই পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনীম যারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী প্রমুখ।
এ সময় এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আজ যারা চাঁদাবাজি করছে, তারা ক্ষমতায় এলে আপনার টিন খুলে নিয়ে যাবে। আমাদের দেশের ভোটাররা দুইশত টাকা দিয়ে ভোট বিক্রি করে। এই প্রবণতা বন্ধ না হলে যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। টাকার বিনিময়ে ভোট দিলে ৫ বছর শোষণ সহ্য করতে হবে।’
উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘দেশে এখন মামলা বাণিজ্য চলছে। এনসিপিতে চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের কোনো স্থান নেই। সংস্কারের মাধ্যমে দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তাদের বান্দরবানে পাঠানো হবে।’
বক্তারা সারজিস আলমকে আটোয়ারী তথা পঞ্চগড়ের একজন যোগ্য সন্তান হিসেবে উল্লেখ করে তার উন্নয়নকাজ এবং এনসিপির পাশে থাকার আহ্বান জানান।
এরপর তারা ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর অভিমুখে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র চতুর্থ দিনের পদযাত্রা শুরু করেন।
আপনার মতামত লিখুন :