জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছেন, শুধু নির্বাচন কমিশন নয়, অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানেও দল নিরপেক্ষ নিয়োগ কমিটির বিষয়ে বিএনপিকে সর্বসম্মত অবস্থান নিতে হবে।
সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর চলমান সংলাপের দ্বিতীয় দফার ২০তম দিনের বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। বৈঠকের সাময়িক বিরতির সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আখতার হোসেন।
তিনি বলেন, গত ৫০ বছরে দেখা গেছে, বাংলাদেশে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে দলীয় প্রভাবমুক্ত নিয়োগ না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকর হয়নি। নির্বাচন কমিশনে যদি অতীতে দল নিরপেক্ষভাবে নিয়োগ হতো, তাহলে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের একতরফা নির্বাচনের ঘটনা ঘটত না।
আখতার হোসেন বলেন, বিএনপি সবচেয়ে বেশি রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হয়েছে। দীর্ঘ সময় তারা ক্ষমতার বাইরে ছিল। সেজন্য তারা যদি বুঝে থাকে যে নির্বাচন কমিশন দল নিরপেক্ষ হওয়া উচিত, তাহলে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান সরকারি কর্ম কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক বা ন্যায়পাল এসব ক্ষেত্রেও কেন একই মনোভাব থাকবে না?
তিনি প্রশ্ন তোলেন, নির্বাচনে ভুক্তভোগী হওয়ায় বিএনপি নির্বাচন কমিশন নিয়ে উদ্বিগ্ন, কিন্তু যেহেতু অন্য প্রতিষ্ঠানে তারা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত নয়, তাই কি সেগুলোতে নিরপেক্ষ নিয়োগ নিয়ে তাদের আগ্রহ নেই? বিষয়টি এমনভাবে উপস্থাপন করলে তা গ্রহণযোগ্য নয়।
আখতার আরও বলেন, আমরা বিএনপির নির্বাচন কমিশন নিয়ে অবস্থানকে সাধুবাদ জানাই। এটি ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত। একইভাবে দলীয় আদর্শ পরিবর্তন না করেই অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিরপেক্ষ নিয়োগ কমিটির পক্ষে বিএনপিকে অবস্থান নিতে আহ্বান জানাই।
এদিকে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শুরু হওয়া বৈঠক শুরুর কিছু পরেই বিএনপি সাময়িক সময়ের জন্য বৈঠক থেকে ওয়াকআউট করে।
আজকের আলোচ্য বিষয় ছিল সরকারি কর্ম কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান এবং সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব।