বেসরকারি স্কুল-কলেজে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সরকারের দেয়া বিশেষ সুবিধা কার্যকর হচ্ছে। ফলে জুলাই মাসেই বাড়ছে সবার বেতন। এখন বাড়তি বেতন পাওয়া শুধু অপেক্ষা মাত্র।
মাউশির এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ইএমআইএস) সেলের প্রোগ্রামার-৩ শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সব কাজ প্রায় শেষের দিকে। এখন শুধু টাকার হিসেব করা বাকি।’
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে শরিফুল আরও বলেন, ‘এই কার্যক্রম শেষ হওয়া মাত্রই শিক্ষকদের জুলাই মাসের বেতনের প্রস্তাব মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) প্রশাসন শাখায় পাঠানো হবে।’
জুলাই মাসে শিক্ষকদের বেতন কত টাকা করে বাড়ছে। তবে কত বাড়ছে সেটি এখনও জানানো হয়নি।
জানতে চাইলে ইএমআইএস সেলের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শিক্ষকদের বেতন বাড়ছে তা নিশ্চিত। তবে কে কত টাকা করে কিংবা সব মিলিয়ে কত টাকা বাড়বে সেটি মাউশি প্রশাসন বলতে পারবে।
‘এখনি এ বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারছি না। আগামী সপ্তাহে ডাটা পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।’
মাউশিতে বেতনের প্রস্তাব কবে পাঠানো হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি আজকের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে প্রস্তাব পাঠানোর। সবকিছু ঠিক থাকলে আজই প্রস্তাব পাঠানো হবে। না হলে আগামী সপ্তাহে প্রস্তাব পাঠানো হবে।’
সাধারণত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পান। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সরকারি কোষাগার থেকে ছাড় হলেও তা রাষ্ট্রায়ত্ত আটটি ব্যাংকের মাধ্যমে ‘অ্যানালগ’ পদ্ধতিতে ছাড় হয়।
এই অর্থ তুলতে শিক্ষকদের নানা ভোগান্তিতে পড়তে হতো। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ইএফটিতে বেসরকারি শিক্ষকদের এমপিওর বেতন-ভাতা দেওয়ার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিকভাবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজের ২০৯ জন শিক্ষক-কর্মচারীর অক্টোবর মাসের এমপিও ইএফটিতে ছাড় হয়। পরবর্তী সময়ে গত ১ জানুয়ারি ১ লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষক ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতার সরকারি অংশের টাকা পেয়েছেন।
দ্বিতীয় ধাপে ৬৭ হাজার, তৃতীয় ধাপে ৮৪ হাজার এবং চতুর্থ ধাপে ৮ হাজার ২০০ এর অধিক শিক্ষক-কর্মচারী ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসের বেতন পেয়েছেন। ইতোমধ্যে শিক্ষক-কর্মচারীরা মে মাসের বেতন-ভাতা পেয়েছেন। তারা জুন মাসের বেতন পেয়েছেন ১৫ জুলাইয়ের পর। এ অবস্থায় জুলাইয়ের বেতন কবে পাবেন সেই দুশ্চিন্তায় রয়েছে প্রায় চার লাখ শিক্ষক-কর্মচারী।