বিগত সাড়ে ১৫ বছরে বাংলাদেশে সংঘটিত সকল হত্যার মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনা। জুডিশিয়াল কিলিং করে নিরপরাধ মানুষদেরকে নির্বিচারে হত্যা, দিনের ভোট রাতে দেওয়া, নিরপরাধ মানুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হয়রানিসহ যত মানবতাবিরোধী কর্মকান্ড সংঘটিত হয়েছে; সবকিছুই জালিম শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়েছে।
শনিবার ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল, সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে সকল মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার সম্পন্ন করতে হবে। জুলাই-আগস্টে যারা জীবন দিয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন আমরা তাদের কাছে ঋণী। তাদের ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
আজকে আমরা যে বাংলাদেশ পেয়েছি, যাদেরকে শহীদ করা হয়েছে তারাও সেই বাংলাদেশ চেয়েছিলেন। সুতরাং সকল হত্যাকান্ডের বিচার হতেই হবে। জুডিশিয়াল ক্যু করে জামায়াত নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। সেই জুডিশিয়াল ক্যু’র সাথে যারা জড়িত ছিল, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদীরা যেই ভাষায় কথা বলতো, আজকে কেউ কেউ সেই ভাষায় কথা বলছেন। তাদের ভাষায় ফ্যাসিবাদের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। পতিত ফ্যাসিবাদের ভাষায় কথা বলা বন্ধ করা উচিত। বাংলাদেশের মানুষ ফ্যাসিবাদ কখনো মেনে নিবে না।
আমরা সবাই ঐকমত্যের ভিত্তিতে চলতে চাই। দেশবাসীকে এই লক্ষ্যে ৫ আগস্টের চেতনায় জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।
গোলাম পরওয়ার বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচন চাই, তা হতে হবে সুষ্ঠুভাবে, সঠিকভাবে। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাংলাদেশের সরকার গঠন করতে চাই। ফ্যাসিবাদের মত অগণতান্ত্রিকপন্থা আমরা পছন্দ করি না। তবে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে হলে রাষ্ট্রের ক্ষতিগ্রস্ত বিভাগগুলো সংস্কার করতে হবে; বিশেষ করে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যেই ৬/৭ বিভাগ রয়েছে।
এ সকল বিভাগ সংস্কার না করে নির্বাচন দেয়া হলে, নির্বাচন কখনো নিরপেক্ষ হবে না। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনে করে আগামী ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করা সম্ভব। এরপর আর বিলম্ব না করে নির্বাচনের রোড ম্যাপ ঘোষণা করা দরকার।
আপনার মতামত লিখুন :