জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন দেশ হিসেবে জন্ম নেয় লাল-সবুজের বাংলাদেশ। লাল সবুজের এই দেশে মুখের ভাষার জন্য প্রাণ দিয়ে বিরল ইতিহাস গড়েছে বাঙালিরা।
বাঙালির প্রাণের ভাষা বাংলাকে রাষ্ট্র ভাষার স্বীকৃতি আদায়ের দিনটি পালন করা হয় দেশ এবং প্রবাসে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারো কানাডার মন্ট্রিয়ালের বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব মন্ট্রিয়াল আয়োজন করেছিলো রক্তাক্ত স্মৃতি বিজড়িত অমর একুশে ফেব্রুয়ারি, শোক আর গর্বের মহিমান্বিত এই দিনটি কে সরন করতে জড়ো হয়েছিলেন অনেক প্রবাসিরা।
কানাডার মন্ট্রিয়ালের পার্কভিউ হলে ফুল হাতে নিয়ে নানা সংগঠনের উপস্থিতি ছিলো চুখে পড়ার মতো।
এসময় সংগঠনের কর্নধাররা জানালেন, আমাদের মাতৃভাষা বাংলা বিশ্বের অন্যতম প্রধান ভাষা। বাংলা আমাদের মাতৃভাষা, আমাদের অহংকার। এ ভাষার জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি।
প্রবাসি সংগঠকরা আরো বলেন, ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে বিদেশে নতুন প্রজন্ম অনেক কিছুই জানে না। নতুন প্রজন্মকে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এই বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ইতিহাস জানানোর খুবই দরকার।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত, রফিক সহ নাম নাজানা অনেকের তাজা রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। যার ফলে বাংলা ভাষা পায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদা। তারই পথ ধরে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন এবং একাত্তরে ৯ মাস পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
বীর শহীদদের স্মরণ এবং সম্মান জানাতে ১২ টা ১ মিনিটে ফুল হাতে নিয়ে আসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কানাডা শাখা, ক্যুইবেক শাখা আওয়ামী যুব লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সিবিবিপিএ উদীচী মৌলভীবাজার জেলা সমাজকল্যাণ সমিতি, কানাডা-বাংলাদেশ সলিডারিটি, বৃহত্তর চট্টগ্রাম সমিতি, বিক্রমপুর মুন্সিগঞ্জ এসোসিয়েশন, বৃহত্তর বরিশাল এসোসিয়েশন, বিয়ানী বাজার এসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম সমিতি ক্যুইবেক, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব মন্ট্রিয়ল,বাংলাদেশ কালচারাল এসোসিয়েশন, সিলেট জেলা সমিতি, সরগম মিউজিক একাডেমি,লোকজ, ক্যাথলিক এসোসিয়েশন।
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি, যে পথ মানবতার দিকে। যে পথ শাশ্বত সত্যের দিকে। যে চেতনা মনুষ্যত্বের সেই চেতনাই একুশের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
আপনার মতামত লিখুন :