প্রমাণ থাকার পরও দেশের আইনে নিষিদ্ধ অনলাইন জুয়া বা ক্যাসিনোয় জড়িত সাতজন জনপ্রিয় নায়িকার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যদিও ছোটপর্দার অভিনেতা প্রত্যয় হিরন ও টিকটকার তোহা হোসাইনকে অনলাইন জুয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ এবং স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাও করা হয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কম পরিচিত তারকা হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের মামলা দেয় এবং গ্রেপ্তার করে জেল খাটায়। অন্যদিকে, বড় ও ছোটপর্দার জনপ্রিয় তারকারা প্রতিনিয়ত অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপনে জড়িত থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। জয়া আহসান, পরীমণি, নুসরাত ফারিয়া, মাহিয়া মাহি, শবনম বুবলী, পিয়া জান্নাতুল ও কেয়া পায়েল নিয়মিত জুয়া বা ক্যাসিনোর বিজ্ঞাপনের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, রাঘববোয়াল বাদ দিয়ে চুনোপুঁটি ধরতে ব্যস্ত প্রশাসন। জুয়ায় জড়িত নায়িকাদের সঙ্গে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। অনলাইন জুয়ায় দেশ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট তদন্ত সংস্থাগুলোর গাফিলতিতে দিন দিন অনলাইন জুয়ার ব্যবসার প্রসার বাড়ছে। এসব বিষয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো বলছে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশের আইনে নিষিদ্ধ জুয়া খেলা, কিন্তু অনলাইনে জুয়া খেলা চলছে প্রকাশ্যে। জুয়ার বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অহরহ চলছে জুয়ার বিজ্ঞাপন। দেশের জনগণকে নিষিদ্ধ জুয়ায় আকৃষ্ট করতে দেশের বিনোদন জগতের জনপ্রিয় তারকাদের দিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। দেশের সিনেমা ও নাটকের জনপ্রিয় সাতজন নায়িকা তাদের ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়া এবং জুয়া কোম্পানির বিজ্ঞাপনগুলোতে মুখ দেখাচ্ছেন। তারকাদের লেখা, ছবি ও ভিডিওতে জুয়া খেলার আহ্বানের সাড়া দিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন। গত কয়েক বছরে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অন্যান্য অনলাইন মাধ্যমগুলোতে ক্যাসিনো ও অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন বেড়ে যাওয়ায় তরুণদের মধ্যে এটি আরও জনপ্রিয় হয়েছে। তরুণেরা ছাড়াও বিভিন্ন বয়সের মানুষ আসক্ত হচ্ছেন। নিষিদ্ধ অনলাইন জুয়া বা ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের। এপ্রিল মাসের মধ্যে সাইবার সেফটি অর্ডিন্যান্স পাস হওয়ার কথা থাকলেও তা এখনো পাস হয়নি। মন্ত্রণালয় বা বিটিআরসি এসব জুয়ার সাইট বন্ধে কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে তারকার যত বেশি ফলোয়ার সেই তারকার রেট তত বেশি। ৫০ লাখ থেকে তিন কোটি টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয় জুয়ার বিজ্ঞাপনের মডেল হতে। জুয়ার বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়ার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছবি, অডিও ও ভিডিও নিয়মিত পোস্ট করা হয়। জুয়ার ওয়েবসাইটে ভিডিও বক্তব্য দেওয়া বা আহ্বানও জানানো হয়। সাধারণত এক বছর ধরে চলা চুক্তিতে অনলাইন জুয়া কোম্পানির হয়ে সব ধরনের প্রচারে যুক্ত থাকতে হয়। চুক্তির পর থেকে পরবর্তী এক বছর জুয়া কোম্পানিগুলোর প্রচার চালিয়ে দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হয় জুয়ায় জড়িয়ে অর্থ খোয়াতে। তারকারা নিজেদের ফেসভ্যালুকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে জুয়ায় আকৃষ্ট করে। এতে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট করে ফেলছে দেশবাসী।
কয়েকজন নায়িকার ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জুয়া বা ক্যাসিনো কোম্পানির এজেন্টরা কোটি টাকার চেক ও সুটকেস নিয়ে আসেন। বেশির ভাগ নায়িকা লোভ সামলাতে না পেরে নিষিদ্ধ জুয়ায় জড়িত হয়ে যান। একজন জনপ্রিয় নায়িকা একটি জুয়া কোম্পানির সাথে এক বছরের জন্য তিন কোটি টাকায় চুক্তিবদ্ধ হন। চুক্তিতে বছরব্যাপী প্রচারের কথা হয়। দেশের জনপ্রিয় তারকারা নিষিদ্ধ জুয়ায় জড়িত থাকার পরও প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় অর্থের লোভে নায়িকারা জুয়ার প্রচার চালিয়ে আসছেন।
গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে, জনপ্রিয় নায়িকাদের সঙ্গে প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্তাব্যক্তিদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে। এসব নায়িকা নিষিদ্ধ জুয়ায় জড়িত থাকলেও প্রশাসনের এক শ্রেণির কর্তাদের আশীর্বাদ পেয়ে পার পেয়ে যান। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সাইবার ক্রাইম ইউনিট থেকে তদন্ত শুরু করলে উপর মহলের চাপে সেই তদন্ত মাঝপথে বন্ধ করে দিতে হয়। অভিযোগ রয়েছে, নায়িকাদের পাশাপাশি জুয়া বা ক্যাসিনো কোম্পানির সঙ্গে প্রশাসনের অসাধু কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশ রয়েছে। সর্বশেষ গত ১৩ এপ্রিল রাজধানীর মিরপুর থেকে টিকটকার তোহা হোসাইনকে গ্রেপ্তার করে মিরপুর থানা পুলিশ। এর আগে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি ভিডিও এবং নাটকে অনলাইন জুয়ার প্রচারের অভিযোগে জনপ্রিয় ইউটিউবার ও অভিনেতা প্রত্যয় হিরণ এবং তার দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
দেশের সবচেয়ে বেশি আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণির ভেরিফায়েড ফেসবুক ফলোয়ারের সংখ্যা এক কোটি ৬৫ লাখ, দুই বাংলার জনপ্রিয় তারকা জয়া আহসানের ৫৭ লাখ, নুসরাত ফারিয়ার ৭০ লাখ, শবনম বুবলীর ৪৯ লাখ, আইনজীবী-মডেল-অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুলের ১৭ লাখ ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ১০ লাখ, আইন বিষয়ে পড়াশোনা করা বর্তমান সময়ের ছোট পর্দার জনপ্রিয় নায়িকা কেয়া পায়েলের ৬০ লাখ এবং অপু বিশ্বাসের ৯১ লাখ ফেসবুক ফলোয়ার রয়েছে। এর বাইরে এসব নায়িকার ইনস্টাগ্রামসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাখ লাখ ফলোয়ার রয়েছে। নায়িকারা নিজেদের আইডিতে নিজের ছবি, ভিডিও এবং পেশাগত কাজের তথ্য ছাড়াও টাকার বিনিময়ে বিজ্ঞাপন পোস্ট করেন। ফলোয়ারের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে থাকেন তারা।
চলমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি লিগ আইপিএল (ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ), বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) বিশ্বের অন্যান্য ক্রিকেট লীগগুলোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচগুলোকে টার্গেট করে অনলাইন জুয়ার প্রচার চলে। মূলত ক্রিকেটের বড় আসরগুলোকে টার্গেট করে জুয়ার বাজার জমজমাট হয়। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, গুগলে বাংলাদেশে অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন চলছে অবাধে। দেশের শীর্ষ তারকারা অর্থের বিনিময়ে এসব বিজ্ঞাপনের প্রচারে অংশ নিচ্ছেন। ২০২৪ সালের সরকারি হিসাব মতে, দেশের ৫০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট বা মোবাইল ব্যবহার করে অনলাইন জুয়া বা ক্যাসিনোয় খেলায় যুক্ত।
অভিযুক্ত ৭ তারকার সঙ্গে প্রথমে তাদের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে এবং পরবর্তীতে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। এই প্রতিবেদক পরিচয় দিয়ে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চান। জয়া আহসান, নুসরাত ফারিয়া ও মাহিয়া মাহী হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজ সিন করলেও উত্তর দেননি।
নিষিদ্ধ জুয়ার বিজ্ঞাপনের প্রচারে যুক্ত থাকা মডেল-অভিনেত্রী পিয়া জান্নাতুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়, সেখানে তিনি উত্তর দেননি। এরপর মোবাইল ফোনে কথা হলে প্রথমে তিনি ব্যস্ততার দোহাই দেন। এরপর প্রশ্ন শুনে কোনো মন্তব্য করতে চান না বলে ফোনের সংযোগ কেটে দেন। দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসানের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে, সহকারী পরিচয়ে এক নারী জানান, ম্যাডাম শুটিংয়ে রয়েছেন। আপনার প্রশ্নের বিষয়ে ওনাকে জানাব। এরপর পরবর্তী ১০ দিনেও তার সঙ্গে আর কথা বলা সম্ভব হয়নি। বর্তমান সময়ের ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ কেয়া পায়েল রূপালী বাংলাদেশকে জানান, আপনার প্রশ্ন আমি দেখেছি। আপনার সঙ্গে আমি পরে কথা বলব। বর্তমান সময়ের ব্যস্ত এই অভিনেত্রী যদিও আর কথা বলেননি।
চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস রূপালী বাংলাদেশকে জানান, গত কয়েক বছরে আমার কাছে বা আমার টিমের কাছে জুয়ার সাইটের প্রচার এবং অ্যাম্বাসাডর হওয়ার প্রস্তাব এসেছে। প্রতিবারই আমি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি। মূলত জুয়ার বিজ্ঞাপনের প্রচার বছর চুক্তিতে মোটা অংকের টাকা অফার করে। তবুও দেশের আইনে নিষিদ্ধ জুয়ার সঙ্গে কোনোভাবেই রাজি হয়নি। বাবু৮৮ নামের একটি জুয়ার ওয়েবসাইটের বিজ্ঞাপনে অপু বিশ্বাসের ছবি ও সিগনেচারের ফটো দেখানো হলে তিনি বলেন, আমাদের দেশে তারকাদের ছবি ইচ্ছেমতো ব্যবহার করা হয়। পার্লারগুলোয় আমার অনুমতি ছাড়াই ছবি ব্যবহার করা হয়। বাবু৮৮ ওয়েবসাইটে অনুমতি ছাড়াই ছবি ব্যবহারের পাশাপাশি নকল সিগনেচার ব্যবহার করা হয়েছে। এই জুয়া কোম্পানিটি অনেকদিন আগে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আমাকে প্রচারে অংশ নিতে বলা হয়। আমি তাদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি।
অন্য আরও একাধিক চিত্রনায়িকা ও বিনোদন জগতের তারকাদের নিষিদ্ধ জুয়ার প্রচারে যুক্ত থাকলেও তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে না অভিযোগ করে ঢাকাই সিনেমার কুইনখ্যাত অপু বিশ্বাস বলেন, টিকটকার বা কম জনপ্রিয় অভিনেতাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এককথায় এক দেশে দুই আইন। ২০২৫ সালে এসেও বৈষম্য দেখতে হচ্ছে আমাদের।
বাংলাদেশ অভিনয়শিল্পী সংঘের সদ্য নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক রাশেদ মামুন অপু রূপালী বাংলাদেশকে জানান, কোনো অভিনয়শিল্পী রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতে পারেন না। যদি যুক্ত থাকেন তবে তার দায়ভার সংশ্লিষ্ট শিল্পীর ব্যক্তিগত বিষয়। অভিনয় শিল্পী সংঘ ব্যক্তি অপরাধের দায়ভার নেবে না। সংগঠনের পক্ষে সব অভিনয়শিল্পীর প্রতি অনুরোধ থাকবে দেশ ও দেশের মানুষের ক্ষতি হয় এমন কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকবেন না।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী রূপালী বাংলাদেশকে জানান, বিটিআরসি মূলত টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা দপ্তরগুলো থেকে নির্দেশনা পেলেই তবে তা বাস্তবায়ন করা হয়। নিষিদ্ধ জুয়া বা ক্যাসিনো ওয়েবসাইটগুলো পর্ন সাইটের মতো প্রতিনিয়ত তাদের ওয়েব এড্রেস পরিবর্তন করে থাকে। আমাদের আলাদা একটি ইউনিট সার্বক্ষণিক জুয়ার সাইটগুলোর বিরুদ্ধে মনিটরিং করে থাকে। এর বাইরে অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সাইবার সিকিউরিটি বিভাগ ও আদালতের নির্দেশনা পেলে বিটিআরসি ব্যবস্থা নেয়। আমরা সক্ষমতার সর্বোচ্চ দিয়ে নিষিদ্ধ জুয়ার বিরুদ্ধে তৎপর রয়েছি।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবালিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলশি কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান রূপালী বাংলাদেশকে জানান, অনলাইন বিজ্ঞাপনে যারাই জড়িত থাকুক না কেন ডিএমপি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। অনলাইন জুয়ায় যুক্ত রয়েছে এমন কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী রূপালী বাংলাদেশকে জানান, ইতিপূর্বে অনলাইন জুয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের সফল অভিযান পরিচালনা করেছে র্যাব। অপরাধী সমাজের যে স্তরেরই হোক না কেন মনে রাখতে হবে আইনের চোখে সবাই সমান। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে, তা যাচাই-বাছাই করে র্যাব অবশ্যই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে বদ্ধপরিকর।
আপনার মতামত লিখুন :