রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৫, ০৩:২৭ পিএম

কেন দেশে আসছেন না তারেক রহমান, জানালেন ফখরুল

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৫, ০৩:২৭ পিএম

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি- সংগৃহীত

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি- সংগৃহীত

সম্প্রতি লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেই বৈঠক থেকে ২০২৬ সালের রমজানের আগেই বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে এক যৌথ বিবৃতিতে এ বিষয়ে জানানো হয়েছিল। এরপর থেকেই তারেক রহমানের দেশে ফেরার অপেক্ষার প্রহর গুনছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপির) হাজার হাজার নেতাকর্মী। 

এমন পরিস্থিতিতে তারেক রহমানের দেশে না ফেরা নিয়ে নতুন বার্তা দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার সময় এখনো নির্ধারণ হয়নি। এখনো ওনার একটা কেস চূড়ান্ত হয়নি। এই কেসটা চূড়ান্ত (শেষ) হয়ে গেলে আমরা আশা করছি শিগগির দেশে আসবেন তিনি।

সম্প্রতি দেশের প্রথমসারির একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সম্ভবত ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলা এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এই কেসটা শেষ হয়ে গেলে আমরা আশা করছি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরবেন শিগগির।

তিনি বলেন, ‘আমিও (দক্ষিণপন্থিদের উত্থান) দেখছি। সে জন্য আমি উদ্বিগ্ন। আমি বাংলাদেশকে সবসময় একটা সত্যিকার অর্থে উদারপন্থি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ হিসেবে দেখতে চাই এবং এখানে গণতন্ত্র হবে সবচেয়ে বড় বিষয়।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সেই জায়গায় যদি এখন এমন এমন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান হয়, যারা গণতন্ত্রেই বিশ্বাস করে না। পরিষ্কার ঘোষণা দিয়ে করে না। আবার তারা নিজেরা জোর করে চাপিয়ে দিতে চায় মতবাদকে, এটা নিঃসন্দেহে এলার্মিং সিচুয়েশন।’

তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু দলের মধ্যে এমনও কথা আছে যে, মহিলাদের তারা কিছুতেই সামনে আনতে চায় না। মহিলাদের তারা রাজনৈতিক ক্ষমতা তো দূরের কথা, তারা সামাজিক ক্ষমতায়নও করতে চায় না। এসব দলের যদি উত্থান হয় এই দেশে, তাহলে তো পিছিয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো পথ থাকবে না।’

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আপনি প্রায়ই বলতেন, নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার না দিলে, ভিন্নমতের দমন দেশের উগ্রবাদের উত্থান ঘটাতে পারে। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর এমন উত্থানের কিছু কিছু আলামত প্রকাশ পাচ্ছে। এর দায় কাকে দেবেন?- এ প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এ দায় সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগের। এক নম্বরে শেখ হাসিনা দায়ী। আমরা বারবার তাকে সতর্ক করেছি, ওই দেশকে সতর্ক করেছি যে, একটি সেন্ট্রিস্ট দল, গণতান্ত্রিক দল বিরোধী দলকে (বিএনপি) কখনোই দমন করে শেষ করে দিয়েন না। তাহলে ডানপন্থিদের উত্থান হবেই, কেউ ঠেকাতে পারবে না। আজকে ঘটনাটা সেই দিকেই যাচ্ছে।’

কিছু শরিক দলের বিএনপির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘এটা হচ্ছে গণতান্ত্রিক ব্যাপার। কিছু দল আছে যারা মার্ক্সবাদে, সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করে। তারা ৩১ দফা তৈরি করার সময়ও বলেছিল, দেখেন সব বিষয়ে আমরা একমত নই। ঠিক আছে, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে একমত হয়ে একসঙ্গে আন্দোলন করে একসঙ্গে সরকার গঠনের কথা বলেছি। আমাদের তো আন্তরিকতার মধ্যে এতটুকু ফাঁক নেই, আমরা সেটা প্রমাণ করেছি, এখনো করছি।’

সরকার গঠন করতে পারলে জাতিকে কেমন শাসন উপহার দেবে বিএনপি?- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কেমন সরকার হবে বলাটা হবে এই মুহূর্তে অবাস্তব কথা। তবে একটা কথা পরিষ্কার, আমরা সবার আগে যেটা গুরুত্ব দেব সেটা হচ্ছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা। আর রাজনৈতিক কাঠামোটাকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করা হবে। আর (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) সংস্কারের মধ্য দিয়ে যেগুলো আসবে, সেগুলো এবং যেগুলো বাকি থাকবে, সেগুলোকে আমরা জনগণের সামনে নিয়ে আসব। অর্থাৎ আমরা বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে একটা আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই।’

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!