জীবন ধারণ ও সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য রিজিকের গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে হালাল উপায়ে রিজিক অন্বেষণের নির্দেশ দিয়েছেন।
পবিত্র কোরআনের অনেক আয়াতে রিজিক সম্পর্কে আলোচনা এসেছে।
রিজিক সম্পর্কিত কয়েকটি আয়াত
১. ‘আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব- কখনো ভয়ভীতি, কখনো অনাহার দিয়ে, কখনো তোমাদের জানমাল ও ফসলাদির ক্ষতির মাধ্যমে। (তোমরা এমন পরিস্থিতিতে ধৈর্য ধারণ করবে) তুমি ধৈর্যশীলদের (জান্নাতের) সুসংবাদ দাও।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৫৫)
২. ‘পৃথিবীর প্রত্যেক জীবের রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহর। তিনি জানেন তারা কোথায় থাকে এবং কোথায় সমাপিত হয়। সবকিছুই এক সুবিন্যস্ত কিতাবে (লওহে মাহফুজে) রয়েছে।’ (সুরা হুদ, আয়াত: ৬)
৩. ‘নিশ্চয় তোমার রব যাকে ইচ্ছা রিজিক বাড়িয়ে দেন এবং যাকে ইচ্ছা সীমিত করে দেন। আর অবশ্যই তিনি তার বান্দাদের সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞাত এবং প্রত্যক্ষদর্শী।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত : ৩০)
৪. ‘এমন কত জীবজন্তু আছে, যারা নিজেদের খাদ্য সঙ্গে বয়ে বেড়ায় না। আল্লাহই তাদের রিজিক দান করেন এবং তোমাদেরও। তিনিই সব কথা শোনেন, সবকিছু জানেন।’ (সুরা আনকাবুত, আয়াত : ৬০)
৫. ‘আল্লাহ নিজ বান্দাদের প্রতি অতি দয়ালু। তিনি যাকে চান রিজিক দান করেন এবং তিনিই শক্তিমান, পরাক্রমশালী।’ (সুরা শুরা, আয়াত : ১৯)
৬. ‘আকাশসমূহে রয়েছে তোমাদের রিজিক ও প্রতিশ্রুত সবকিছু।’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত : ২২)
৭. ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তিনি, যিনি রিজিকদাতা এবং মহাশক্তিধর ও মহাপরাক্রমশালী।’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত : ৫৮)
৮. ‘যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তাকে সংকট থেকে উত্তরণের পথ তৈরি করে দেন। তাকে এমনভাবে রিজিক দান করেন, যা তার ধারণারও বাইরে।’ (সুরা তালাক, আয়াত : ২-৩)