শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৫, ০৬:৪৬ এএম

জুমার নামাজের আগে-পরের সুন্নত না পড়লে গুনাহ হবে?

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৫, ০৬:৪৬ এএম

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমাবার। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে সালাতের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও। আর বেচা-কেনা বর্জন করো। এটাই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম, যদি তোমরা জানতে (সুরা জুমা, আয়াত: ৯)।

অন্যদিকে আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- সূর্য উদয়ের দিবসগুলোর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমাবার। সে দিনে আদমকে সৃষ্টি করা হয়। তাকে ওইদিন জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়। তাকে তা থেকে ওইদিন বের করা হয়। আর কেয়ামতও হবে জুমার দিবসেই। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৮৫০)

এ ক্ষেত্রে বিনা কারণে জুমার নামাজ ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারেও কঠোর নিষেধ রয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনু উমর ও আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তারা উভয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) কে মিম্বরের সিঁড়িতে বলতে শুনেছেন, যারা জুমা পরিত্যাগ করে, তাদের এ কাজ থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। নতুবা মহান আল্লাহ তাদের অন্তরে মোহর মেরে দেবেন। অতঃপর তারা অবশ্যই গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৮৭৫)।

এছাড়াও আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, যে ব্যক্তি অবহেলা করে তিন জুমা পরিত্যাগ করে, আল্লাহ তার হৃদয় মোহরাঙ্কিত করে দেন (সুনান আত তিরমিজি, হাদিস: ৫০০)। তাই জুমার দিনে উত্তমরূপে গোসলের পাশাপাশি মিসওয়াক, সুগন্ধি ব্যবহারসহ উত্তম কাপড় পরিধান করে মসজিদে যাওয়ার কথা অনেক হাদিসে এসেছে।

জুমার নামাজ মূলত ২ রাকাত। যাকে আমরা ফরজ বা ওয়াজিব হিসেবে জানি। এর আগে পরে সুন্নত পড়া যায়। এ ক্ষেত্রে মসজিদে প্রবেশের পর দুই রাকাত সুন্নত পড়তে হয় যা তাহিয়্যাতুল মসজিদ বা দুখুলুল মসজিদ নামে পরিচিত। এটি ওয়াজিব না হলেও হাদিসে এ বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

আবু সাঈদ আল-খুদরী (রা.) বলেন, একবার জনৈক ব্যক্তি দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় মসজিদে এসে প্রবেশ করলো। ওই সময় রাসুল (সা.) জুমার খুতবা দিচ্ছিলেন। তিনি সেই ব্যক্তিকে তখন দু’রাকাত (তাহিয়্যাতুল মসজিদ) আদায় করতে আদেশ দিলেন। এরপর তিনি দু’রাকাত আদায় করলেন আর তখন রাসুল (সা.) খুতবা দিচ্ছিলেন। (ইবনু মাজাহ, হাদিস: ১১১৩; সুনান আত তিরমিজি, হাদিস: ৫১১)

অন্যদিকে জুমার নামাজের পর চার রাকাত নামাজ সুন্নত, যেটি বায়াদাল জুমা নামে পরিচিত। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা জুমার পর সালাত আদায় করলে চার রাকাত আদায় করবে। (সুনান আত তিরমিজি, হাদিস: ৫২৩; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৯১০)

হাদিস অনুযায়ী, বায়াদাল জুমা বা জুমার ফরজ নামাজের পর সুন্নত বাড়িতেও পড়া যায়। ইবনু উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি (ইবনু উমর) জুমার সালাত শেষে চলে যেতেন এবং ঘরে গিয়ে দু’রাকাত পড়ে নিতেন। এরপর তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-ও এরূপ করতেন। (সহিহ মুসলিম, ১৯১২)

এ ক্ষেত্রে হরহামেশাই দেখা যায় জুমার ২ রাকাত ফরজ শেষে অনেকেই মসজিদ থেকে বেরিয়ে যান। আবার জুমার ফরজের আগে মসজিদে ঢুকলেও অনেকে তাহিয়্যাতুল মসজিদ বা দুখুলুল মসজিদের ২ রাকাত নামাজ আদায় করেন না। শুধু ফরজ পড়েই বেরিয়ে যান। প্রশ্ন হলো- জুমার নামাজের আগে ও পরের এই সুন্নত না পড়লে কি নামাজ হবে কিনা?

ইসলামিক স্কলার মিজানুর রহমান আজহারীসহ অধিকাংশ আলেমদের মত, জুমার ২ রাকাত নামাজ ফরজ, যেটিকে ওয়াজিবও বলা হয়। আর কবলাল জুমা (তাহিয়্যাতুল মসজিদ) ও বায়াদাল জুমা পড়া সুন্নত। এ ক্ষেত্রে ফরজ নামাজ না পড়লে এর জন্য শাস্তি দেয়া হবে। কিন্তু শুধু ফরজ নামাজ পড়লে সালাত পরিপূর্ণতা পায় না। তবে জরুরি কাজে ব্যস্ততা থাকলে জুমার নামাজের আগে ও পরের এই সুন্নত না পড়লে কোনো অসুবিধা নেই।

তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে, সালাত পরিপূর্ণ হওয়ার জন্য নামাজের মধ্যে থাকা রোকনগুলো সঠিকভাবে আদায় করা জরুরি। উবাদাহ্ ইবনুস্ সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ৫ ওয়াক্ত সালাত আল্লাহ তা’য়ালা (বান্দার জন্য) ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি এ সালাতের জন্য ভালোভাবে অজু করবে, সঠিক সময়ে আদায় করবে এবং এর রুকু ও খুশুকে পরিপূর্ণরূপে করবে, তার জন্য আল্লাহর ওয়াদা রয়েছে যে, তিনি তাকে ক্ষমা করে দেবেন। আর যে তা না করবে, তার জন্য আল্লাহর ওয়াদা নেই। ইচ্ছা করলে তিনি ক্ষমা করে দিতে পারেন, আর ইচ্ছা করলে শাস্তিও দিতে পারেন। (মেশকাত, হাদিস: ৫৭০)

Link copied!