নগদে শতকোটি টাকা বেহাত ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের প্রাক্তন ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৩০ মে) দুপুরে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এ বিষয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে ধরেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
রাশেদ খানের অভিযোগ, ‘নগদ মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে আতিক মোর্শেদ প্রায় ১৫০ কোটি টাকা বেহাত করেছেন। এ ছাড়া নিজের স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা জুঁই-কে কমপ্লায়েন্স ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগসহ আরও বেশ কয়েকজন আত্মীয়কে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন।’
তিনি জানান, নগদের ডেপুটি সিইও মুয়ীজ নাসনিম ত্বকির সহযোগিতায় এই দুর্নীতির ঘটনা ঘটে।
রাশেদ খান দাবি করেন, ‘দৈনিক মানবজমিন এ সংক্রান্ত বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, আতিক মোর্শেদ এবং মুয়ীজ ত্বকি মিলে নগদের অর্থ ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছেন। অথচ আতিক মোর্শেদ কোনো কর্মকর্তা নন, তবুও নগদের ৬ তলার অফিসে নিয়মিত বসছেন।’
তিনি আরও দাবি করেন, ‘১৮ মে রাতে নগদের ডেপুটি সিইও মুয়ীজ ত্বকিকে ডিবি আটক করলেও পরদিন কোনো মামলায় পাঠানো হয়নি, বরং ছেড়ে দেওয়া হয়। আতিক মোর্শেদের হস্তক্ষেপেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।’
রাশেদ খানের প্রশ্ন, ‘আতিক মোর্শেদ যখন নাহিদ ইসলামের পিএ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন, তখনই এসব অনিয়মে জড়িয়েছেন। তাহলে নাহিদ ইসলাম কী জানতেন না, নাকি ইচ্ছাকৃত নীরব ছিলেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘নাহিদ ইসলাম প্রায় বলতেন, আমাদের ডোনেট করছে ধনীরা। এখন প্রশ্ন, সেই ধনীরা কারা? তারা কীভাবে নগদের অর্থ দিচ্ছে এবং কোথায় তা যাচ্ছে?’
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এত বড় দুর্নীতির ঘটনায় নাহিদ ইসলাম ও আতিক মোর্শেদের ভূমিকা স্পষ্ট হওয়া জরুরি। তদন্ত ছাড়া কোনোভাবেই এই দায় এড়ানো যাবে না। সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে।’