সাধারণ বাজারে যেসব সবজি সারাবছরই সহজলভ্য- তাদের মধ্যে বেগুন অন্যতম। সহজপ্রাপ্য এই সবজিটি শুধু স্বাদের দিক থেকেই নয়, স্বাস্থ্যগুণেও সমৃদ্ধ। বাজারে মূলত দুই ধরনের বেগুন পাওয়া যায়- লম্বা ও গোল বেগুন। দুই প্রকারেই রয়েছে স্বাদের ও গুণের ভিন্নতা। ভর্তা, ভাজি, মাছের সাথে তরকারি বা বেকড- বেগুনের ব্যবহার নানামুখী এবং প্রতিবারই তা হয়ে ওঠে রসনাবিলাসের অন্যতম অনুষঙ্গ।
বেগুনে কী কী পুষ্টি আছে? প্রতি ১০০ গ্রাম বেগুনে থাকে- খাদ্যশক্তি: ২৫ কিলোক্যালরি, সোডিয়াম: ২ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম: ২২৯ মিলিগ্রাম, কার্বোহাইড্রেট: ৬ গ্রাম, প্রোটিন: ১ গ্রাম ইত্যাদি।
এছাড়াও এতে রয়েছে আয়রন, রিবোফ্লাভিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ই, কে ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান।
বেগুনের কয়েকটি উপকারিতা...
১. ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক
বেগুনে রয়েছে উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা পাকস্থলী, কোলন, ক্ষুদ্র ও বৃহদান্ত্রের ক্যানসার প্রতিরোধে কার্যকর।
২. রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে
বেগুনে কোনো কোলেস্টেরল নেই। বরং এটি ক্ষতিকর কোলেস্টেরল (LDL) কমাতে সাহায্য করে, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।
৩. রক্তশূন্যতা দূর করতে সহায়ক
আয়রনসমৃদ্ধ বেগুন রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে। রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়ার রোগীদের জন্য এটি উপকারী।
৪. মুখের ঘা ও জ্বর পরবর্তী অরুচি দূর করে
বেগুনে থাকা রিবোফ্লাভিন ঠোঁট ও জিহ্বার ঘা সারাতে কার্যকর। জ্বরের পর মুখের অরুচি ও বিস্বাদ দূর করতেও সহায়ক।
৫. রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে
ভিটামিন ই ও কে সমৃদ্ধ বেগুন রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে এবং ক্ষতস্থান দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে।
৬. চোখের যত্নে সহায়ক
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ বেগুন চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।
৭. হজমে সহায়তা ও কোষ্ঠকাঠিন্য নিরসন
বেগুনে প্রচুর আঁশ বা ডায়াটারি ফাইবার থাকে, যা হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
৮. দাঁত, হাড় ও নখের মজবুতি
বেগুনে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম দাঁত ও হাড় মজবুত করে, মাড়িকে শক্তিশালী করে এবং নখের ভঙ্গুরতা কমায়।
৯. জিঙ্ক ঘাটতি দূর করে
ডায়রিয়ার পর শরীরে জিঙ্কের ঘাটতি দেখা যায়। বেগুন সে ঘাটতি পূরণে সহায়ক। তবে ডায়রিয়া চলাকালীন সময়ে বেগুন না খাওয়াই ভালো।