রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৫, ০৯:০৫ এএম

ম্যানচেস্টার সিটিকে উড়িয়ে ইতিহাস গড়ল ক্রিস্টাল প্যালেস

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৫, ০৯:০৫ এএম

শিরোপা নিয়ে ক্রিস্টাল প্যালেসের ফুটবলারদের উল্লাস। ছবি: সংগৃহীত

শিরোপা নিয়ে ক্রিস্টাল প্যালেসের ফুটবলারদের উল্লাস। ছবি: সংগৃহীত

এফএ কাপে শক্তি-সামর্থ্যে এগিয়ে থাকা ম্যানচেস্টার সিটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো ক্রিস্টাল প্যালেস।

শনিবার (১৭ মে) লন্ডনের ওয়েম্বলিতে ফাইনালে ১-০ গোলে জিতেছে প্যালেস। ম্যাচের শুরুর দিকে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন এবেরেচি এজে।

ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতাটিতে এর আগে দুইবার ফাইনালে উঠেছিল প্যালেস। দুবারই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে স্বপ্ন ভেঙেছিল তাদের। এবার ম্যানচেস্টারেরই আরেক দলকে হারিয়ে ক্লাবের ১২০ বছরের ইতিহাসে প্রথম মেজর কোনো শিরোপা জিতল এই ক্রিস্টাল প্যালেস।

পুরো ম্যাচের ৭৫ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ২৩ শট নিয়ে ছয়টি লক্ষ্যে রাখতে পারে সিটি। সেখানে মাত্র সাত শটের দুটি লক্ষ্যে রেখেই বাজিমাত করে প্যালেস। তবে ম্যাচজুড়ে দুর্দান্ত সব সেভ করে ‘ফেভারিটদের’ আটকে রাখা ডিন হেন্ডারসনের অবদানও কোনোঅংশে কম নয়।

ম্যাচের শুরু থেকে একচেটিয়া পজেশন ধরে রেখে ষষ্ঠ মিনিটে পরিষ্কার একটি সুযোগ তৈরি করে সিটি। কেভিন ডে ব্রুইনের দূরের পোস্টে বাড়ানো বলে হলান্ড লাফিয়ে পা ছোঁয়ালেও, সেটা গোলরক্ষককে ফাঁকি দিতে পারেনি।

প্রথম ১৫ মিনিটে ৮৫ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে ছিল সিটির। তাদের টানা আক্রমণ সামলাতেই বেগ পেতে হচ্ছিল প্যালেসের। তবে,১৬  মিনিটে প্রথম প্রতি-আক্রমণে গিয়েই সিটিকে স্তব্ধ করে দেয় এবারের প্রিমিয়ার লিগে দ্বাদশ স্থানে থাকা দলটি। ডান দিক থেকে দানিয়েল মুনোসের বাড়ানো বল পেনাল্টি স্পটের কাছে পেয়ে, সঙ্গে লেগে থাকা প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগ না দিয়ে দারুণ ভলিতে গোলটি করেন এবেরেচি এজে।

দলের আচমকা এভাবে গোল হজম করতে দেখে ডাগআউটে মাথায় হাত উঠে যায় গুয়ার্দিওলার।

৫ মিনিট পর আরেকটি পাল্টা আক্রমণে অনেকটা একইরকম ভাবে ডি-বক্সে বল বাড়ান মুনোস। তবে এবার ইসমাইলা সার গোলরক্ষক বরাবর দুর্বল শট নেন।

কিছুক্ষণ পর সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি সিটি। ৩৩তম মিনিটে বের্নার্দো সিলভা ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় সিটি। শুরুতে স্পট কিক নিতে প্রস্তুত হতে দেখা যায় হলান্ডকে, কিন্তু তিনি বল তুলে দেন ওমার মার্মাউশের হাতে। মিশরের এই ফরোয়ার্ডে শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। ফিরতি বলে হলান্ডের প্রচেষ্টাও আটকে দেন ডিন হেন্ডারসন।

৪৩তম মিনিটে আরেকটি দুর্দান্ত সেভ করেন হেন্ডারসন। ডি-বক্সের মধ্যে থেকে জেরেমি ডোকুর দূরের পোস্টে নেওয়া জোরাল শট দারুণ ক্ষীপ্রতায় রুখে দেন ইংলিশ গোলরক্ষক।

৫৭তম মিনিটে মুনোসের প্রচেষ্টা জালে জড়ালে ব্যবধান দ্বিগুণ করার উদযাপন শুরু করে প্যালেস। তবে, ভিএআরের সাহায্যে রেফারি অফসাইডের বাঁশি বাজালে হাফ ছাড়ে সিটি।

একইরকম চাপ ধরে রেখে খেলতে থাকে সিটি, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফলটাই মিলছিল না তাদের। ১০ মিনিট যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ডে ব্রুইনের শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। তিন মিনিট পর আরেকটি দুর্দান্ত সেভ করেন হেন্ডারসন। এরপর, শেষের বাঁশি বাজতেই গ্যালারির প্যালেস অংশে ওঠে গর্জন, আর অন্যপাশে পিনপতন নীরবতা।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!