চেলসির আক্রমণভাগে তারকার অভাব নেই। তবে ব্রাইটন থেকে আসা জোয়াও পেদ্রো হয়তো ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালের আগেই নিজের জায়গা পাকা করে নিলেন। ফ্লুমিনেন্সের বিপক্ষে সেমিফাইনালে অভিষেক একাদশে নেমেই করেন দুর্দান্ত দুই গোল—আর তাতেই যেন আক্রমণভাগের নতুন ভরসা হয়ে উঠলেন এই ব্রাজিলিয়ান।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে চেলসিতে যোগ দেওয়া ২২ বছর বয়সি পেদ্রো ইতোমধ্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কেন তাকে নিয়ে এত আলোচনা।
ম্যাচের ১৮তম মিনিটে ফ্লুমিনেন্সের বক্সের কোণ থেকে এক চমৎকার দূরপাল্লার শটে জাল খুঁজে নেন তিনি। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৫৬ মিনিটে এনজো ফার্নান্দেজের লম্বা পাস ধরে বক্সে ঢুকে দুর্দান্ত এক শটে বল জড়ান জালে—ক্রসবার ঘেঁষে ঢোকে বল।
চেলসি এই ম্যাচ জিতে যেমন নিশ্চিত করেছে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল, তেমনি প্রায় ২২ মিলিয়ন পাউন্ড পুরস্কার অর্থও নিশ্চিত হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, মাত্র এক ম্যাচেই নিজের ট্রান্সফার ফি’র এক-তৃতীয়াংশ ‘মুল্য আদায়’ করে ফেলেছেন পেদ্রো।
ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, এটা যেন স্বপ্নের মতো। চেলসিতে এলাম এক সপ্তাহ হলো, আর এখন আমি ফাইনাল খেলব। এটা আমার প্রথম শিরোপা হতে পারে।
চেলসির নতুন কোচ এনজো মারেস্কা এই গ্রীষ্মেই বেশ কয়েকজন ফরোয়ার্ড দলে ভিড়িয়েছেন জেমি গিটেনস, লিয়াম ডিলাপ, ইস্তেভাও উইলিয়ান এবং জোয়াও পেদ্রো। তবে পেদ্রো নিজের প্রথম ম্যাচেই বুঝিয়ে দিলেন তিনি সাধারণ একজন প্রতিযোগী নন।
ব্রাইটনের হয়ে ৭০ ম্যাচে ৩০ গোল করা এই স্ট্রাইকার চেলসিতে এসেছেন মূলত ৯ এবং ১০ নম্বর পজিশনে প্রতিযোগিতা গড়তে। আর সেই প্রতিযোগিতায় প্রথম ম্যাচেই নিজের অস্তিত্ব জানান দিয়েছেন।
মাত্র তিনটি শট, দুটি গোল। দলের মধ্যে সর্বোচ্চ অন-টার্গেট শট তিনিই করেছেন এনকুঙ্কুর সঙ্গে সমান হয়ে।
তার খেলায় শুধু গোল নয়, ছিল পাসিং আর খেলার অসাধারণ প্রদর্শন। এদিন মাঠে মোট ২৬টি টাচ ছিল তার।
সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ উইঙ্গার গ্যারেথ বেল তার প্রশংসা করে বলেন, শুধু গোল নয়, ওর লিঙ্কআপ প্লে, পাসিং আর মাঠজুড়ে প্রভাব ছিল অসাধারণ। ক্যারিয়ারের নতুন ধাপে ও দুর্দান্ত সূচনা করেছে।
কোচ মারেস্কা বলেন, আমরা জানতাম ও কতটা দক্ষ। আজ ও দুর্দান্ত করেছে। ব্রাইটনের কোচ ডি জার্বির সঙ্গে কথা বলেই আমরা ওকে দলে এনেছি।
আপনার মতামত লিখুন :