আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ের ম্যাচে তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটিং তাণ্ডব। আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১২ বলে দুটি ছক্কার আর ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩২ রান করেন তানজিদ। তখন ৬ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৫৯ রান।
এরপর আফগানিস্তান স্পিন আক্রমণ শুরু করলে বাংলাদেশের রানের গতি স্লথ হয়ে যায়। ওপেনার সাইফ হাসান আউট হওয়ার পর; আসা-যাওয়ার মিছিলে অংশ নেন লিটন দাস, শামিম হোসেন ও তাওহীদ হৃদয়।
ইনিংস ওপেন করতে নেমে ১২.৫ ওভারে দলীয় ১০৪ রানে আউট হন তানজিদ। তার আগে ৩১ বলে চারটি চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৫২ রান করে ফেরেন তানজিদ। এদিন তিনটি ছক্কা হাঁকানোর মধ্য দিয়ে পারভেজ হোসেন ইমনকে ছাড়িয়ে যান তানজিদ হাসান তামিম।
হংকংয়ের বিপক্ষে জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে একটি ছক্কা হাঁকান পারভেজ হোসেন ইমন। যার কল্যাণে তিনি এক পঞ্জিকাবর্ষে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩ ছক্কার রেকর্ড গড়েন।
আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩টি ছক্কা হাঁকানোর মধ্য দিয়ে ইমনকে ছাড়িয়ে যান তামিম। এক পঞ্জিকাবর্ষে টাইগারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৬তম ছয় তানজিদের। ২৩ ছক্কা নিয়ে এর পরই অবস্থান ইমনের।
ব্যক্তিগতভাবে আরেকটি রেকর্ড গড়েছেন তানজিদ তামিম। আবুধাবির মাটিতে তিনি টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে তৃতীয় দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েছেন। তামিম হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ২৮ বলে, তার সমান বল খেলে ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি করেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা মিচেল মার্শ।
আবুধাবিতে সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটি মোহাম্মদ ওয়াসিমের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০২৩ সালে তিনি ওই কীর্তি গড়েন ২১ বলে। ২০২১ সালে আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ দ্বিতীয় দ্রুততম ২৬ বলে ফিফটি করেন।
ম্যাচটিতে তানজিদের মারা দ্বিতীয় ছক্কা দিয়েই এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ ছয়ের রেকর্ড পূর্ণ করে বাংলাদেশও। গত বছর সর্বোচ্চ ১২২ ছক্কা মারার রেকর্ড গড়েছিল টাইগাররা। এবার ৬ ম্যাচ কম খেলেই তারা রেকর্ডটা গড়ল। এখন পর্যন্ত ২০২৫ সালে তাদের ছয়ের সংখ্যা ১২৬টি।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন