এশিয়া কাপের গ্রুপ 'বি'-তে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে গত রাতে আফগানিস্তানকে ৮ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে দাপুটে জয়ের পর আফগানিস্তানের এটি প্রথম হার। অন্যদিকে, এই জয়ের ফলে সুপার ফোরের আশা এখনো টিকে আছে বাংলাদেশ।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৫৪ রান তোলে বাংলাদেশ। ওপেনার তানজিদ হাসান ৫২ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে শক্তিশালী সূচনা এনে দেন। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন সাইফ হাসান, যিনি ৩০ রান করেন।
এছাড়া, মিডল-অর্ডারে তাওহিদ হৃদয় ২৬ রান করে দলের সংগ্রহ ১৫৪ রানে নিয়ে যান। আফগানিস্তানের পক্ষে রশিদ খান ও নূর আহমদ ২টি করে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের রানের লাগাম টানার চেষ্টা করেন। আজমতুল্লাহ ওমরজাই নেন ১টি উইকেট।
১৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তান শুরু থেকেই নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে। শেষ দুই ওভারে তাদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৭ রান। ক্রিজে ছিলেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান।
১৯তম ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি মেরে আশার সঞ্চার করলেও পরের বলেই তাসকিন আহমেদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার এই আউট ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
তিনি ১১ বলে ২০ রান করেন। পরের বলেই আউট হন আল্লাহ গজানফর। শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায়।
ম্যাচ শেষে রশিদ খান নিজের আউটের জন্য আক্ষেপ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, 'আমরা শেষ পর্যন্ত ম্যাচে ছিলাম। আমার আউট হওয়া পর্যন্ত সব ঠিক ছিল, কিন্তু আমরা ম্যাচ শেষ করতে পারিনি। এই সময়ে ৩০ রান করা সম্ভব ছিল, কিন্তু আমরা চাপে পড়ে গিয়েছিলাম।'
রশিদ খান আরও বলেন, 'আমাদের বোলাররা দারুণ কাজ করেছে। প্রথম ১০ ওভারে ৯০ রান হওয়ার পরও আমরা বাংলাদেশকে ১৬০ রানের নিচে রাখতে পেরেছিলাম।
তবে আমাদের কিছু অনাবশ্যক ঝুঁকিপূর্ণ শট খেলার কারণে সুযোগ নষ্ট হয়েছে।'
এই হারের পর আফগানিস্তানের পরবর্তী ম্যাচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সুপার ফোরে যেতে হলে তাদের জন্য এই ম্যাচটি 'বাঁচা-মরার লড়াই'।
রশিদ খান বলেন, 'পরবর্তী ম্যাচ বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের ভুল থেকে শিখে মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন