২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য পাপু গোমেজ অবশেষে মাঠে ফেরার জন্য প্রস্তুত। ডোপ টেস্টে পজিটিভ হওয়ার কারণে দীর্ঘ দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আগামী ১৮ অক্টোবর তিনি আবার খেলতে নামবেন।
২০২২ সালে সেভিয়া ক্লাবে খেলার সময় তিনি অসুস্থ বোধ করেন। তখন দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই তার ছেলের কাশির সিরাপ খান। পরে জানা যায়, এই সিরাপে বিটা২-অ্যাড্রেনার্জিক নামক একটি নিষিদ্ধ পদার্থ ছিল।
এর ফলস্বরূপ, ২০২৩ সালের অক্টোবরে তাকে দুই বছরের জন্য ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করা হয়।
ক্ষোভ ও হতাশার দিনগুলো
নিষেধাজ্ঞার খবর শুনে পাপু গোমেজ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। তার কাছে ফুটবলকে ‘মৃত’ মনে হতে শুরু করে। সেই সময়টায় তিনি ফুটবল দেখতেন না এবং নিজেকে পুরোপুরি গুটিয়ে নিয়েছিলেন।
এই দুঃসময় কাটাতে তিনি একজন মনোবিদের সাহায্য নেন।
সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যেখানে কোকেন বা গাঁজা সেবনের জন্য মাত্র ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, সেখানে আমি ভুল করে ছেলের কাশির সিরাপ খেয়ে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা পেলাম। এটা কি কোনোভাবে যুক্তিসংগত?
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু মানুষ আমাকে জোর করে অবসর নিতে বলেছিল, কিন্তু আমি এখনো খেলার মতো অবস্থায় আছি। জীবনে যারা কোনোদিন খেলাধুলা করেনি, স্যুট পরা সেই দুই-তিনজন মানুষ কেন আমার অবসরের সময় ঠিক করবে?’
নতুন অধ্যায়ের শুরু
নিষেধাজ্ঞার কারণে সেভিয়া এবং মোনৎসার মতো ক্লাব থেকে তাকে চুক্তি বাতিল করতে হয়েছে। এরপর যখন অনেকেই ভেবেছিলেন তার ক্যারিয়ার বোধ হয় শেষ, তখন ইতালির দ্বিতীয় স্তরের (সিরি ‘বি’) ক্লাব পাভোদো তার প্রতি আগ্রহ দেখায়। এই ক্লাবটির সঙ্গে তিনি দুই বছরের চুক্তি করেছেন। বর্তমানে ব্যক্তিগতভাবে অনুশীলন করছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন