বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার ইমার্জিং দলের মধ্যকার চারদিনের ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে ঘটে যাওয়া বাক-বিতণ্ডা ও হেলমেট ধরে টানাটানির ঘটনায় দুই দলের তিন ক্রিকেটারকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
গত বুধবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় বাংলাদেশের পেসার রিপন মন্ডলসহ দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ক্রিকেটারকে সাসপেনশন পয়েন্ট দিয়েছেন ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদ।
ঘটনার সূত্রপাত হয় বাংলাদেশ ইনিংসের ১০৫তম ওভারে। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলার ইনোসেন্ট এনতুলির করা ওভারের প্রথম বলে রিপন মন্ডল ছক্কা হাঁকালে এনতুরি মেজাজ হারান।
ছক্কা হজম করার পর তিনি রিপন মন্ডলের দিকে তেড়ে যান এবং উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এক পর্যায়ে এনতুরি রিপনকে ধাক্কা দেন এবং তার হেলমেট ধরে টানাহেঁচড়া শুরু করেন। রিপন হেলমেট আটকানোর চেষ্টা করলেও আম্পায়াররা প্রাথমিকভাবে এনতুরিকে থামাতে পারেননি।
এনতুরি হেলমেট থেকে হাত সরিয়ে আঙুল উঁচিয়ে রিপনকে কিছু বলতে থাকেন। পরে দুই আম্পায়ার এবং অন্যান্য ক্রিকেটাররা তাদের আলাদা করেন। এ সময় দক্ষিণ আফ্রিকার আরও দুই খেলোয়াড় এসে রিপনকে কিছু বলতে থাকেন।
ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদ গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, এই ঘটনার জন্য ইনোসেন্ট এনতুলিকে চারটি সাসপেনশন পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। তার সতীর্থ ক্রিকেটার মিকায়েল প্রিন্সকে দেওয়া হয়েছে এক পয়েন্ট।
এছাড়া, বাংলাদেশের পেসার রিপন মন্ডলকে দুটি সাসপেনশন পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে।
তবে, এটি ক্রিকেটারদের চূড়ান্ত শাস্তি নয় বলেও জানান ম্যাচ রেফারি। তিনি বলেন, সাসপেনশন পয়েন্ট অনুযায়ী দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ও ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা) নিষেধাজ্ঞা কিংবা আর্থিক জরিমানাসহ আরও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে।
তারা কয় ম্যাচ ফাইন করবে, তা ওয়ানডে, টেস্ট নাকি টি-টোয়েন্টিতে মানা হবে, সেটি বোর্ডগুলোর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। ম্যাচ রেফারি জানান, ঘটনার প্রমাণ দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের কাছে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইমার্জিং দলের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ জয়লাভ করে এবং চারদিনের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ড্র হয়। গত দু'দিনের বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় টেস্টও ড্র হয়েছে।