আফগানদের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো করতে পারল না টাইগাররা। মেহেদী-হৃদয়ের জোড়া ফিফটিতে আফগানদের ২২২ রানের টার্গেট দিল মিরাজের দল। এ দিন ৪৮.৫ ওভার ব্যাট করে টেনেটুনে ২০০ পার করে বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরুতেই চাপে পড়ে টাইগাররা। সেই চাপকে সামলে মেহেদী-হৃদয়ের জোড়া ফিফটিতে এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মিরাজ-হৃদয়ের বিদায়ে আবারও বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।
আজ বুধবার (৮ অক্টোবর) আবু ধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের সময় খেলাটি শুরু হয় সন্ধ্যা ৬টায়।
এ দিন সাইফ হাসানের সঙ্গে ইনিংস ওপেন করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি তানজিদ তামিম। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তামিম। ১০ বল খেলে ১০ রান করেছেন তিনি।
তিনে নেমে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে আজমতউল্লাহর বলে রীতিমতো বোকা বনে যান শান্ত। ড্রাইভ করতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দিয়েছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। সাজঘরে ফেরার আগে ৫ বলে ২ রান করেছেন তিনি।
২৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন তাওহিদ হৃদয় ও সাইফ হাসান। অভিষেকে দারুণ শুরু করেছিলেন সাইফ। তবে পাওয়ার প্লে শেষেই ধৈর্য হারান তিনি। বড় শট খেলতে গিয়ে সীমানার কাছে ক্যাচ দিয়েছেন। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৭ বলে ২৬ রান করেছেন এই ওপেনার।
৫৩ রানে যখন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার হারিয়ে চাপে পড়ে যায় টাইগাররা, তখনই দলকে চাপ থেকে তুলে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল মেহেদী-হৃদয়ের দারুণ জুটি।
দলীয় ১৫৪ রানের মাথায় যখন রান আউট হয়ে মাঠ ছাড়ে হৃদয়, তখনও খেলায় ছিল বাংলাদেশ কিন্তু পরপর উইকেট হারিয়ে আবারও বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা।
ফিনিশিংয়ে টাইগার শিবিরে ভরসা ছিল জাকের আলী ও নুরুল হাসান সোহান, কিন্তু তাদের বাজে ব্যাটিংয়ে লড়াইয়ের পুঁজিও পায় না বাংলাদেশ।
১৫৪ রানে একটা সময় ছিল ৩ উইকেট সেখান থেকে ৫০ রান যোগ করতেই হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট! শেষদিকে তানজিম সাকিবের ১৭ রানের ওপর ভর করে ৫০ ওভারের (৪৮.৫) আগেই ১০ উইকেট হারিয়ে ২২১ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
ব্যাট হাতে বাংলাদেশের হয়ে ৩৭ বলে ২৬ রান করেন সাইফ হাসান, ৮৫ বলে ৫৬ রান করেন তাওহিদ হৃদয়, ৮৭ বলে ৬০ রান করেন মেহেদী মিরাজ এবং ২৩ বলে ১৭ রান করেন সাকিব।
বল হাতে আফগানিস্তানের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও রশিদ খান এবং ২টি উইকেট নেন আল্লাহ গজানফার।