মিরপুরের স্পিন-সহায়ক মন্থর ট্র্যাকের দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য আশার আলো দেখছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট দেখে রীতিমতো খুশি ক্যারিবিয়ান শিবির, যা স্বাগতিক বাংলাদেশের জন্য ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে।
ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের স্পিন ফাঁদে পড়ে বারবার বিপর্যস্ত হয়েছিল উইন্ডিজ। কিন্তু টি-টোয়েন্টি সিরিজের ভেন্যু পরিবর্তন হতেই ছবিটা পাল্টে গেল। চট্টগ্রাম পৌঁছেই উইকেটের চরিত্র নিয়ে কৌতূহল ছিল তাদের।
সেই কৌতূহল দূর হলো যখন নিজ চোখে সাগরিকার পিচ দেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ ড্যারেন স্যামি হাসিমুখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেন।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে পরিচিত মুখ স্যামি। বিপিএলসহ এখানকার পিচের আচরণ তার জানা। কোচ হিসেবে মাঠে নামার আগে উইকেট দেখে তার মুখে ফুটে ওঠা হাসিই জানান দিচ্ছে, সাগরিকার উইকেট ক্যারিবিয়ানদের মন জয় করেছে।
অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি না হলেও তার চেহারার অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছে- উইকেট বেশ ভালো লেগেছে তাদের।
গতকাল দুপুর থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শহীদ মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন শুরু করে। মিরপুরের মন্থর ও টার্নিং ট্র্যাক থেকে ভিন্ন সাগরিকার উইকেট।
এই উইকেটে ঘাসের আভাস আছে, বল ব্যাটে যাবে ভালোভাবে, যা স্বভাবতই টি-টোয়েন্টির পাওয়ার-হিটিংয়ে অভ্যস্ত ক্যারিবিয়ানদের জন্য স্বস্তির।
উইকেটের এই চরিত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদেরও বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে। নেট অনুশীলনে রোমারিও শেফার্ড ও জেসন হোল্ডারকে তীব্র গতিতে বল করতে দেখা যায়।
অন্যদিকে, ব্যাট হাতে বড় ছক্কার ঝড় তুলেছেন হোল্ডার ও অগাস্টে। অনুশীলনের একপর্যায়ে হোল্ডারের ব্যাট থেকে টানা তিনটি বল উড়ে গ্যালারিতে চলে যায়, যা খুঁজতে স্বয়ং কোচ স্যামিকেও গ্যালারিতে উঠতে দেখা যায়।
এদিন, সন্ধ্যায় বাংলাদেশ দল অনুশীলনে আসে। টাইগার অধিনায়ক লিটন কুমার দাসও কোচ ফিল সিমন্সকে সঙ্গে নিয়ে পিচ পরিদর্শনে যান। চোট কাটিয়ে ফেরা লিটনকেও উইকেট দেখতে দেখা গেছে হাসিমুখে।
দুই দলের কোচই জানেন, টি-টোয়েন্টির সাফল্যের বড় অংশ নির্ভর করবে এই উইকেটের আচরণের ওপর।



সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন