বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কানাডা জাতীয় দলের ফুটবলার সামিত সোম।
এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) কানাডা ফুটবল ফেডারেশনের অনাপত্তিপত্র পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) কানাডা ফুটবল ফেডারেশন থেকে আসা এক চিঠিতে বাফুফে এমন সংবাদ পেয়েছে।
চিঠিতে সামিতের কানাডা জাতীয় দলের হয়ে খেলা দুই ম্যাচের বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাফুফের সহসভাপতি ফাহাদ করিম।
তিনি জানান, আগামীকাল সামিতের পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা হবে। পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বাফুফে খেলোয়াড়ের স্ট্যাটাস পরিবর্তনের জন্য ফিফার কাছে আবেদন করবে।
বাফুফে আগামী ১০ জুন ঢাকায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে সামিতকে খেলানোর জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
এদিকে, অন্য দেশে জন্ম নেওয়া বা অন্য দেশের হয়ে খেলার পর জাতীয় দল পরিবর্তন করতে হলে বেশকিছু নিয়মকানুন অনুসরণ করতে হয়। এ ক্ষেত্রে পাসপোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এর আগে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড় হামজা চৌধুরীর ক্ষেত্রেও বাফুফে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছিল।
তবে সামিতের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট পাওয়ার আগেই তার জন্ম নিবন্ধন ব্যবহার করে কানাডা ফুটবল ফেডারেশনের কাছে অনাপত্তিপত্রের জন্য আবেদন করা হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে ফাহাদ করিম বলেন, ‘সাধারণত পাসপোর্ট পাওয়ার পরই অনাপত্তিপত্রের জন্য আবেদন করা হয়। তবে সামিতের বাংলাদেশের হয়ে খেলার আগ্রহের কারণে এবং তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে, আমরা পাসপোর্টের অপেক্ষা না করে আগেভাগেই আবেদন করি।’
কানাডার বাংলাদেশ হাইকমিশন সামিতের পাসপোর্ট ইস্যু করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বাফুফে আশা করছে, আগামী সপ্তাহেই সামিতের পাসপোর্ট পাওয়া যাবে।
এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির কাছে আবেদন করা হবে। ফিফার সবুজ সংকেত পেলেই সামিতের বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আর কোনো বাধা থাকবে না।
উল্লেখ্য, আগামী ১০ জুন ঢাকায় বাংলাদেশের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ রয়েছে। খেলোয়াড় নিবন্ধনের শেষ তারিখ ৩ জুন। বাফুফে ২ জুনের মধ্যে ফিফার কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেলে সামিতকে এ ম্যাচের জন্য নিবন্ধন করতে পারবে।
এর আগে হামজা চৌধুরীর ক্ষেত্রে ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি তিন মাসের বেশি সময় নিয়েছিল। এখন দেখার বিষয় সামিতের ক্ষেত্রে কত সময় লাগে।
আপনার মতামত লিখুন :