কাঠমান্ডুতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, বিক্ষোভ ও গোলাগুলির কারণে আটকা পড়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের দেশে ফেরা।
বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ এবং তাদের সঙ্গে থাকা সাংবাদিকরা গতকাল থেকে কাঠমান্ডুর ক্রাউন ইম্পেরিয়াল হোটেলে অবস্থান করছেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ফুটবল দলকে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তাদের পক্ষ থেকে নেপালের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
যদি সবুজ সংকেত মেলে, তবে আজই বাংলাদেশ থেকে একটি কার্গো বিমান নেপালের উদ্দেশে রওনা হবে। সেই বিমানে করে দলের সঙ্গে সাংবাদিকরাও দেশে ফিরতে পারবেন।
এদিকে গতকাল নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি ও প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেলের পদত্যাগের পরও দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছিল।
মঙ্গলবার দলের ম্যানেজার আমের খান জানিয়েছেন, নিরাপত্তার কারণে খেলোয়াড়রা হোটেল থেকে বের হতে পারেননি। বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দিতে গিয়ে গোলাগুলি ও অগ্নিসংযোগের কারণে তাদের আবার হোটেলে ফিরে যেতে হয়েছে।
গতকাল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দলের নিরাপত্তা তাদের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
নেপালে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএনএফএ) সম্মিলিতভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে এবং দলের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
অপরদিকে মঙ্গলবার বাংলাদেশ দলকে ফিরিয়ে আনতে একটি বিমান পাঠানো হলেও ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণ করতে না পারায় সেটি ফিরে আসে।
এখন সবার চোখ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সবুজ সংকেতের দিকে। যদি সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়, তবে হয়তো আজই জামাল-তপুদের নিরাপদে দেশে ফেরা সম্ভব হবে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন