সেন্টার কোর্টে যেন ক্লান্তি আর লড়াইয়ের এক অন্যরকম অধ্যায় লিখলেন নোভাক জোকোভিচ। উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছালেও অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্স ডি মিনরকে হারাতে গিয়ে কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে সার্বিয়ান কিংবদন্তিকে।
সোমবার রাতে ৩ ঘণ্টা ১৯ মিনিটের এই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ১-৬, ৬-৪, ৬-৪, ৬-৪ সেটে জয় ছিনিয়ে নেন ৩৮ বছর বয়সি এই টেনিস তারকা।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে তিনি ১৬তমবারের মতো উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন এবং ধরে রাখলেন নিজের ২৫তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের আশা।
প্রথম সেটে মাত্র ৩১ মিনিটেই হেরে বসেন জোকোভিচ। বল হাতে ছিল না সেই পরিচিত ধার, রিটার্নেও ছন্দের অভাব। এমনকি তিনবার সার্ভিস ব্রেক হয় তার।
তবে সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে শুরু করেন জোকোভিচ। ধীরে ধীরে কোর্টে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি, একের পর এক বেসলাইন র্যালিতে পেছনে ফেলেন প্রতিপক্ষকে।
সার্বিয়ান তারকার এমন ঘুরে দাঁড়ানোর সাক্ষী ছিলেন কিংবদন্তি রজার ফেদেরার নিজেও, যিনি রয়্যাল বক্সে বসে খেলা উপভোগ করছিলেন। ফেদেরারের সামনে খেলে আগের দুই ম্যাচেই হেরেছিলেন জোকোভিচ, এবারে সেই ‘অভিশাপ’ কাটালেন।
খেলা শেষে কোর্টেই এক আবেগঘন প্রতিক্রিয়ায় জোকোভিচ বলেন, আমি এখনো জানি না কীভাবে অনুভব করছি। প্রথম সেটে খুব বাজে শুরু করেছিলাম, অ্যালেক্স দারুণ খেলছিল।
আমি খুব খুশি যে সঠিক সময়ে নিজেকে ধরে রাখতে পেরেছি।
চতুর্থ সেটে যখন ডি মিনর ৪-১ এগিয়ে যান এবং ৫-১ সেট পয়েন্টের কাছাকাছি চলে যান, তখন অনেকেই ভাবছিলেন হয়তো ম্যাচ পঞ্চম সেটে গড়াবে। কিন্তু ঠিক তখনই জেগে ওঠেন জোকোভিচ—টানা পাঁচ গেম জিতে ম্যাচের পর্দা টানেন।
এই ম্যাচ দিয়ে উইম্বলডনে জোকোভিচের জয়সংখ্যা দাঁড়াল ১০১টিতে। শেষ ৪৫ ম্যাচে তিনি জিতেছেন ৪৩টি।
ডি মিনরের বিপক্ষে ঘাসের কোর্টে এটি ছিল জোকোভিচের প্রথম ম্যাচ। গতবার কোয়ার্টার ফাইনালের আগে ডি মিনর চোটের কারণে সরে দাঁড়ান। এবার প্রমাণ করলেন কেন তাকে বলা হয় উইম্বলডনের রাজা।
শেষ আটে জোকোভিচের প্রতিপক্ষ ইতালির ২২তম বাছাই ফ্লাভিও কাবোল্লি। সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ, তবে সোমবারের মতো ঘুরে দাঁড়াতে পারলে ২৫তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়কে আর অসম্ভব বলা যাবে না।
আপনার মতামত লিখুন :