গাজার খান ইউনিসের আল-মায়াউশি এলাকায় উদ্বোধন করা হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদিত মানবিক সংস্থা আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন (আশ ফাউন্ডেশন) পরিচালিত প্রথম বাংলাদেশি এতিমখানা ‘খাদীজা বিনতে খুয়াইলিদ (রা.) অরফানেজ সেন্টার’।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) মা-বাবাহীন শিশুদের হাতে অভিভাবকত্বের স্বীকৃতিপত্র ও নগদ অর্থ সহায়তা তুলে দিয়ে উদ্বোধন করা এতিমখানায় প্রাথমিকভাবে ৫০ জন শিশুকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এই এতিমখানার শিশুদের জন্য বহু সংখ্যক বাংলাদেশি অভিভাবকের দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ইসরায়েলিদের বর্বর হামলায় যুদ্ধবিধ্বস্ত এই অঞ্চলে এতিম শিশুদের জন্য স্থায়ী আশ্রয় ও পুনর্বাসনের লক্ষ্যেই ফাউন্ডেশনটি এ মহতী উদ্যোগ গ্রহণ করে বলে জানিয়েছেন আশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন।
তিনি বলেন, গাজার তাঁবুতে নির্মিত বাংলাদেশিদের সহায়তায় এতিমখানাটি কেবল একটি আশ্রয়স্থল নয় বরং এটি আমাদের ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ ও মানবিক সংহতির প্রতীক। বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে এটি গাজার এতিম শিশুদের জন্য একান্ত হৃদয়ের উপহার। আমরা বিশ্বাস করি, সবার সহযোগিতায় ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে গাজায় আরও অনেক এতিমখানা নির্মাণ সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, শুধু এতিমখানা নয়, আশ ফাউন্ডেশন গাজায় নিয়মিত খাবার, পানির ব্যবস্থাসহ নানাবিধ জরুরি কর্মসূচি পালন করার পাশাপাশি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রথম মসজিদ নির্মাণ, সোলার বিদ্যুৎ প্রকল্প, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট স্থাপন, পানির কূপ খনন ও মোটর বসিয়ে ক্যাম্পে পানি সরবরাহসহ একাধিক মানবিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
এসব উদ্যোগ গাজার সংকটাপন্ন মানুষদের জীবনে আশার আলো জ্বালাচ্ছে। এই মহতী কার্যক্রম বাংলাদেশের মানবিক ভূমিকা ও মুসলিম উম্মাহর প্রতি দায়িত্ববোধের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন (ASH Foundation) ২০২৩ সাল থেকে গাজার নির্যাতিত জনগণের পাশে দাঁড়াতে মিশর সীমান্তে মানবিক সহায়তা দিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। পরে গাজা ভূখণ্ডের ভেতরেই জরুরি প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে তারা সরাসরি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রথম সংস্থা হিসেবে উপস্থিতি নিশ্চিত করে।