ইরানের পার্লামেন্টে স্পিকার মোহাম্মদ-বাকের কালিবাফ বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নৃশংসতার প্রতি নীরবতা ও উদাসীনতা ক্ষমার অযোগ্য পাপ। গাজাকে সমর্থন করা সকল মুসলমানের কর্তব্য বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মোহাম্মদ বাকের বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায় ফিলিস্তিনে, বিশেষ করে গাজা উপত্যকায় আমাদের মুসলিম ভাই-বোনদের ওপর গভীর অবিচার এবং দুর্ভোগ প্রত্যক্ষ করছে। এই মানবিক ট্র্যাজেডি প্রতিটি স্বাধীনতাকামী ব্যক্তির হৃদয়কে ব্যথিত করে এবং মানবতার বিবেককে চ্যালেঞ্জ করে।’
তিনি বলেন, ‘গাজায় নৃশংস আগ্রাসন, ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের জন্য ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়বিচার ও আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য চলমান সংগ্রামের সমর্থনে বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ এবং তীব্র নিন্দা প্রয়োজন। এই অপরাধের মুখে নীরবতা নিপীড়কদের সঙ্গে সহযোগিতা এবং মানবিক ও ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি অবজ্ঞার প্রতীক।’
তিনি বলেন, ‘আগ্রাসীদের প্রতি মার্কিন প্রশাসনের অটল সমর্থন তাদের অপরাধ চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেছে, যা দুর্ভোগের চক্রকে টিকিয়ে রেখেছে। এই ধরনের সমর্থন কেবল আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতি লঙ্ঘন করে না, বরং মানবিক ও নৈতিক নীতিরও পরিপন্থী।’
ইরানের স্পিকার আরও বলেন, ‘উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইন্দোনেশিয়া যেমন তার জাতীয় ঐক্যকে শক্তিশালী করেছে, তেমনি আজ ইসলামী বিশ্বকে ফিলিস্তিনের সাথে সংহতি প্রকাশ করতে হবে। ইসলামী চিন্তাধারায়, নিপীড়নের মুখে নীরবতা বিশ্বাসঘাতকতা - কুরআন, ইতিহাস এবং মানবতার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা’।
