ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ হলে অবরুদ্ধ গাজার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেবে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মধ্যস্থতাকারী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে গোষ্ঠীটি।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) স্কাই নিউজকে এ কথা বলেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ সদস্য ড. বাসেম নাইম।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ভবিষ্যত নির্ধারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি শান্তি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
নাইমের মতে, আলোচনার জন্য মার্কিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা হবে। আলোচনায় বন্দি বিনিময়, গাজা থেকে ইসরায়েলিদের সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, মানবিক সহায়তার সুবিধা প্রদান এবং গাজা পুনর্গঠনের দাবি জানাবে হামাস।
হামাসের এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, তারা বিশ্বাস করেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি চুক্তিতে মধ্যস্থতা করতে সাহায্য করতে পারেন। ২০০৬ সালের ফিলিস্তিনি নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকে ক্ষমতায় থাকা হামাস কী শান্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকার থেকে পদত্যাগ করতে পারে?
তিনি বলেন, আমরা মার্কিনিদের বলেছি, গাজা যুদ্ধের অবসান হলে আমরা অবিলম্বে সরকার হস্তান্তর করতে প্রস্তুত। হামাস একটি মিশরীয় শান্তি প্রস্তাব ‘গ্রহণ’ করেছে. যা ‘গাজা উপত্যকা পরিচালনার জন্য একটি স্বাধীন, রাজনৈতিকভাবে অসংলগ্ন ফিলিস্তিনি সংস্থা গঠনের কথা বলছে’। তবে দখলদারদের প্রতিরোধ করার অধিকার আমাদের আছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে হামাস নেতা বলেন, ‘আমি মনে করি, গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষমতা ও ইচ্ছাশক্তি ট্রাম্পের আছে। এখানকার বাসিন্দার অন্যান্য মানুষদের মতোই শান্তিপ্রিয়। তাদের শান্তি ও মর্যাদা নিয়ে বাঁচার অধিকার আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাম্প যদি ইসরায়েলিদের ওপর অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করতে পর্যাপ্ত চাপ প্রয়োগ করেন, তবে তিনি তা পারবেন। এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমরা তাকে সব ধরণের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।’
রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্পের সঙ্গে হামাসের সাক্ষাৎকারের প্রতিক্রিয়ায় হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জেমস হিউইট স্কাই নিউজকে বলেন, ‘হামাস শান্তি সম্পর্কে আন্তরিকতা দেখায়নি। প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট বলেছেন যে, হামাসকে তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে হবে।’