গাজা উপত্যকায় ফের ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র হয়েছে বিমান হামলা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতি ঠেকে জানা যায়, মাত্র ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং কমপক্ষে ৭৭ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১ মে) সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার (২ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত এ হামলা চালায় ইসরায়েল।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে শুরু হওয়া এ সংঘাত গত দেড় বছর ধরে ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। হামাসের আকস্মিক হামলায় সেদিন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর থেকেই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজা উপত্যকায় একের পর এক সামরিক অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
সবশেষ শুক্রবারের হামলা পর্যন্ত নিহতের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫২ হাজার ৪১৮ জনে এবং আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৯১ জন ফিলিস্তিনি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, নিহত ও আহতদের মধ্যে ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
বিশ্বজুড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে গত ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল একপক্ষীয় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলেও দুই মাসের মাথায়, ১৮ মার্চ থেকে ফের শুরু হয় গাজায় সামরিক অভিযান। আইডিএফ দাবি করেছে, এখনো হামাসের হাতে অন্তত ৩৫ জন জিম্মি রয়েছেন এবং তাদের মুক্ত করতেই এই অভিযান।
দ্বিতীয় দফার অভিযানে গত দেড় মাসে নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ৩ শতাধিক ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ৬ হাজারের বেশি।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা গাজায় যুদ্ধ বন্ধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানালেও, তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, ‘হামাসকে নির্মূল এবং জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত এই অভিযান চলতেই থাকবে।’
ইতোমধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’র অভিযোগে আন্তর্জাতিক আদালত (আইসিজে)-এ মামলা হয়েছে। তবে নেতানিয়াহু সরকারের অবস্থানে এখনো কোনো পরিবর্তনের ইঙ্গিত নেই।