ঢাকা রবিবার, ০৪ মে, ২০২৫

গাজায় অভিযান চালিয়েও একবেলার খাবার পাওয়া অসম্ভব

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৫, ০৯:৩৭ পিএম
দেইর এল-বালাহে দাতব্য সংস্থা কর্তৃক বিতরণ করা খাবার গ্রহণের জন্য ফিলিস্তিনিরা অপেক্ষা করছেন। ছবি : সংগৃহীত

টানা দুই মাস ধরে অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সাহায্যে প্রবেশ সর্ম্পূ বন্ধ রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। কমিউনিটি রান্নাঘরের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে ফিলিস্তিনিরা। তবে সেখানেও সরবরাহ শেষের পথে। মজুদকৃত খাদ্যেও টান পড়েছে। যা রয়েছে, টেনে-টুনে দিন কতক চালানো যেতে পারে। পরিস্থিতি এমন যে একবেলার খাবার পাওয়াই অসম্ভব। বলছিলেন গাজার বাস্তুচ্যুত বাসিন্দা আহমেদ আল-নাজ্জার।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরাকে তিনি বলেন, ‘অভিযান চালিয়েও এখন একবেলার খাবার খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। আর খাবার খোঁজাও যেন অভিযানে পরিণত হয়েছে। একের পর এক দাতব্য সংস্থা ঘোষণা করছে যে, তাদের সরবরাহ শেষ হয়ে গেছে। তারা তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিচ্ছে। কারণ তারা... জনসংখ্যাকে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ করার মতো অবস্থায় নেই।’

মজুদ কমে যাওয়ার ফলে বাজারের দোকানগুলোতে মৌলিক খাদ্যদ্রব্যের দাম আকাশচুম্বী। আল-নাজ্জার বলেন, ‘যদি আপনার কাছে টাকা থাকে, তাহলে আপনি সঠিক কিছু খুঁজে পেতে পারেন। নগদ অর্থের সংকটে থাকা উপত্যকাজুড়ে বেশিরভাগই কেনার সামর্থ্য রাখে না। বেড়ার ওপারে ট্রাক জমে থাকা মানুষ, এমনকি শিশুরাও, ভয়াবহ পরিস্থিতিতে থাকা অবস্থায় প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হতাশাজনক ও ক্ষোভজনক।’

অবরুদ্ধ গাজায় দীর্ঘ ৩০ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিকিৎসক ডা. ম্যাডস গিলবার্ট বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি অবরোধের ফলে মানব সৃষ্ট মানবিক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। ক্ষুধা ও অপুষ্টিকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে নেতানিয়াহুর কট্টরপন্থী সামরিক বাহিনী। ফলে বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের অভাব ও গাজার জনসংখ্যার উপর ইসরায়েলের বিধ্বংসী প্রভাব নিয়েও বিশ্বনেতাদের সমালোচনা করেছেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পাল্টা জবাবে গাজায় আগ্রাসন শুরু করে ইসরায়েল। এরপর টানা স্থল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে দখলদাররা। অনবরত বিমান হামলায় গাজা এখন ধ্বংসস্তূপ। নষ্ট করা হয়েছে কৃষিজমি। বোমা হামলায় হাসপাতালগুলোও ধ্বংস, কার্যক্রম বন্ধ। খাদ্য সংকট চরমে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন অনুসারে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ নেমে এসেছে।