গত ২২ এপ্রিল, কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। বিভিন্ন সূত্র জানায়, দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
বিশেষ করে কৃষক, শ্রমিক ও সাধারণ পরিবারগুলো পুরোনো বাঙ্কার পরিষ্কার করছে, আর যাদের বাঙ্কার নেই তারা নতুন করে বাঙ্কার খুঁড়ছে।
এই বাঙ্কারগুলো গুলির আঘাত থেকে বাঁচাতে পারে, কিন্তু বড় বিস্ফোরণ বা গোলার আঘাত ঠেকাতে পারে না। তবুও সীমান্তবাসীদের একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে এ বাঙ্কারগুলোই।
বর্তমানে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখার ৭৪৪ কিলোমিটার অংশ সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ। এখানে দিনের পর দিন গোলাগুলি চলছে। কেউ রাতের ঘুম ঠিকভাবে ঘুমাতে পারছে না। এখন পর্যন্ত কোনো নিহত বা আহতের খবর পাওয়া না গেলেও আতঙ্ক বাড়ছে।
সীমান্তের অনেক বাসিন্দা বলেন, তারা আগেও গোলাগুলি দেখেছেন, কিন্তু এবারের পরিস্থিতি অনেক বেশি ভয়ানক মনে হচ্ছে। সীমান্তে দিনে ও রাতে আকাশে যুদ্ধবিমান চলাচল করছে, যা মানুষের ভয় আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
শুক্রবার (২ মে) একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে পাকিস্তান । এর জবাবে ভারত শনিবার (৩ মে) পাকিস্তান থেকে সব পণ্য আমদানি বন্ধ ঘোষণা করেছে। ভারতের বাণিজ্য দপ্তর বলেছে, জাতীয় নিরাপত্তার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সীমান্তের বাসিন্দা পীরজাদা সৈয়দ বলেন, ‘আমরা বাঙ্কার খুঁড়ছি, কারণ আমরা জানি গোলাগুলি কী ভয়ংকর হতে পারে।’
২০০৩ সালে ভারত ও পাকিস্তান একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করেছিল। ২০২১ সালে আবার দুই দেশ শান্তির জন্য নতুন করে সম্মতি দিয়েছিল। কিন্তু এখন আবার সেই চুক্তি ভেঙে গেছে।
সীমান্তে যারা থাকেন, তারা জানেন গোলাগুলি কখন শুরু হবে কেউ বলতে পারে না। তাই তারা নিজেরা সাবধান হওয়ার চেষ্টা করছেন।