ইসরায়েলের গাজা উপত্যকায় টানা অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে। এই অবরোধের কারণে গাজায় খাবার, পানি ও ওষুধ পৌঁছাতে পারছে না।
এতে, কমপক্ষে ৫৭ জন ফিলিস্তিনি অনাহারে মারা গেছেন যাদের মধ্যে নারী, শিশু এবং বৃদ্ধরাও রয়েছেন।
কাতার বলেছে, এই পরিস্থিতি খুবই ভয়ংকর। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অনুরোধ করেছে যেন গাজায় দ্রুত ত্রাণ পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হয়। কাতারের এক মুখপাত্র বলেছেন, ইসরায়েল যা করছে তা অমানবিক। এটা কোনো সভ্যতা নয়। বরং এটা নিরীহ মানুষের ওপর হামলা।
গাজায় খাদ্য ও পানি না থাকায় মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। তারা জাতিসংঘের ত্রাণ অফিসে গিয়ে খাবার ও ওষুধ খুঁজেছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। তারা তাদের কর্মীদের সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে।
অন্যদিকে, ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা’ নামের একটি ত্রাণবাহী জাহাজ সমুদ্রে আটকে আছে। মাল্টা দেশ জাহাজটিকে বন্দরে ভিড়তে দিচ্ছে না। ড্রোন হামলার কারণে জাহাজের কয়েকজন আহত হয়েছেন।
জাহাজে যারা আছেন, তারা বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন এবং আবার হামলার আশঙ্কায় আছেন।
জাহাজের একজন স্বেচ্ছাসেবক বলেছেন, ‘আমরা শুধু গাজায় ত্রাণ দিতে চাই। তবুও আমাদের কেউ সাহায্য করছে না।’
এদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলেন, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি তিনি বাতিল করেছেন। এরপর থেকেই গাজায় কোনো ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, পরিস্থিতি যদি এমনই থাকে, তাহলে গাজায় আরও বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে। আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়তে পারে, কারণ ক্ষুধার্ত মানুষ তখন বেঁচে থাকার জন্য যেকোনো কাজ করতে পারে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছে এবং ইসরায়েলের অবরোধের কারণে চিকিৎসা সরঞ্জামও পৌঁছাতে পারছে না।
এ ছাড়া, আন্তর্জাতিক রেডক্রস, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামসহ বিভিন্ন সংস্থা সাহায্য পাঠাতে চাইলেও সীমান্ত বন্ধ থাকায় তারা সফল হচ্ছে না।