কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার ঘটনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। এর মধ্যেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করলেন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কীর্তি আজাদ।
তিনি বলেন, মোদি সরকার নিজের দেশে জঙ্গি ঢুকিয়ে যুদ্ধের নাটক করছে। এর মাধ্যমে তারা রাজনৈতিক সুবিধা নিতে চায়। কাশ্মীরের হামলাকে তারা ব্যবহার করছে নিজেদের স্বার্থে।
হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, পাকিস্তান বলেছে- যদি ভারত সিন্ধু নদে বাঁধ নির্মাণ করে, তাহলে তারা সেই বাঁধ গুঁড়িয়ে দেবে। কিন্তু এই হুমকির পরেও ভারত সরকার কোনো জবাব দেয়নি।
কীর্তি আজাদ বলেন, দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ব্যর্থ। সীমান্তে অনুপ্রবেশ হচ্ছে, অথচ সরকার এ নিয়ে কিছু করতে পারছে না। অথচ পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ নিয়ে বিজেপি খুব আওয়াজ তুলছে।
তিনি বলেন, ‘বিজেপি শুধু নাটক করছে, বাস্তবে কিছু করছে না। তারা দেশের ভেতরে অশান্তি ছড়াতে চাইছে।’
তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গের বিএসএফ সদস্য পূর্ণম কুমার সাউ এখনো পাকিস্তানে বন্দি। ভারত এখনো তাকে ফেরাতে পারেনি। পতাকা বৈঠক করেও কোনো সমাধান আসেনি।
কীর্তি আজাদ মোদি সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পেহেলগামে যাননি, কাশ্মীর নিয়ে কোনো সর্বদলীয় বৈঠকে যাননি, অথচ বিহারে নির্বাচনি সফরে ব্যস্ত।’
তিনি প্রশ্ন করেন, ‘যুদ্ধ ঘোষণা করতে কেন দেরি? গোয়েন্দা সংস্থা কী করছে? নিরাপত্তা রক্ষা করা যদি না যায়, তাহলে মানুষ কোথায় যাবে?’
তার মতে, বিজেপি নিরাপত্তার বিষয়টিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়েছে। এটা দেশের জন্য বিপজ্জনক।