ঢাকা রবিবার, ০৪ মে, ২০২৫

তাশাহহুদ কীভাবে পড়তে হয়

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৫, ০২:০০ পিএম
নামাজরত অবস্থায় মুসল্লিরা। ছবি: সংগৃহীত

আল্লাহ তাআলা মুমিনের জন্য প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়াকে ফরজ করেছেন। নামাজে বৈঠক বসা ফরজ কাজ। আর বৈঠকে তাশাহহুদ পড়া ওয়াজিব বা আবশ্যক। প্রতি দুই দুই রাকাআত পর পর বৈঠকে বসতে হয়।

কখন পড়তে হয় তাশাহহুদ

তাশাহহুদ মূলত যেকোনো নামাজের দ্বিতীয় ও শেষ রাকাতে বসে পড়তে হয়। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (স.) যখন তাশাহহুদে বসতেন, তখন তাঁর বাম পা বিছিয়ে রাখতেন এবং ডান পা খাড়া রাখতেন।’ (মুসলিম, হাদিস: ৪৯৮)।

এই বসার পদ্ধতি ‘তাওয়াররুক’ নামে পরিচিত। তাশাহহুদ পাঠকালে ডান হাতের তর্জনী আঙুল উত্তোলন করে একত্ববাদের ইশারা করা সুন্নত।

তাশাহহুদের গুরুত্ব ও মর্যাদা

ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) আমার হাত তাঁর দুই হাতের মাঝে রেখে আমাকে তাশাহুদ শেখালেন, যেভাবে তিনি কোরআনের সুরা শেখাতেন।’ (বুখারি, হাদিস: ৮৩১)

আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ তাশাহহুদে বসে, তখন সে যেন বলে ‘আত্তাহিইয়াতু লিল্লাহি...।’ (মুসলিম, হাদিস: ৪০২)

এই মহামূল্যবান দোয়ার প্রতিটি শব্দে আল্লাহর প্রতি সম্মান, ভালোবাসা ও বিনয়ের প্রকাশ রয়েছে।

ইমাম নববি (রহ.) বলেন, তাশাহহুদে মানুষ আল্লাহর সামনে সর্বোচ্চ বিনয়ের সঙ্গে উপস্থিত হয়, যেখানে সে তার সকল সম্মান, রাজত্ব ও পবিত্রতা একমাত্র আল্লাহর জন্য নিবেদন করে।

তাশাহহুদ আরবি

التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ ، السَّلَامُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللَّهِ وَبَرَكَاتُهُ ، السَّلَامُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللَّهِ الصَّالِحِينَ ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ

উচ্চারণ

আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস-সালাওয়াতু ওয়াত-ত্বায়্যিবাতু; আস-সালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ; আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিছ ছালিহীন; আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।

বাংলা অর্থ

‘সব মৌখিক ইবাদত আল্লাহর জন্য। হে নবি! আপনার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও বরকত বর্ষিত হোক। শান্তি আমাদের ওপর এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের ওপর বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো মাবুদ বা উপাস্য নাই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসুল।