ঢাকা রবিবার, ০৪ মে, ২০২৫

এবার চন্দ্রভাগা নদীর পানি আটকাল ভারত

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৪, ২০২৫, ০৫:৪৭ পিএম
কাশ্মীরে চন্দ্রভাগা নদীর উপর বাগলিবার বাঁধ। ছবি : সংগৃহীত

পেহেলগামের ঘটনার পর পাকিস্তানকে শায়েস্তা করতে সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের অনেকটাই অবনতি হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে চন্দ্রভাগা নদীর পানিপ্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। চন্দ্রভাগা নদীর পানিপ্রবাহ পাকিস্তানমুখী।

রোববার (৪ মে) জম্মু-কাশ্মীরের রমবান জেলায় অবস্থিত বাগলিহার বাঁধের মাধ্যমে পানিপ্রবাহ আটকানো হয়।

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বাগলিহার বাঁধের মাধ্যমে চন্দ্রভাগার পানির প্রবাহ আটকেছে ভারত। একই পরিকল্পনা রয়েছে বিতস্তা নদীর ওপর কিশনগঙ্গা বাঁধ নিয়েও। তবে সেই পরিকল্পনা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।

পেহেলগামে হামলার পর পাকিস্তানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে নয়াদিল্লি। কাশ্মীরে সিন্ধু ও তার উপনদীগুলোর পানিপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ অনেকাংশেই এই চুক্তির উপর নির্ভরশীল। সিন্ধু, চন্দ্রভাগা এবং বিতস্তার পানি পাকিস্তানের দিকে বহমান।

চুক্তির শর্ত অমান্য করলে ভারত ইচ্ছেমতো পানিপ্রবাহ আটকে দিতে পারে বা বাড়তি পানি ছাড়তে পারে। দুই ক্ষেত্রেই পাকিস্তানে সংকট তৈরির আশঙ্কা রয়েছে।

চন্দ্রভাগা নদীর উপর ভারতের বাগলিহার বাঁধ দীর্ঘদিন ধরেই দুই দেশের বিরোধের অন্যতম কারণ। অতীতে এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের হস্তক্ষেপও চেয়েছিল পাকিস্তান। অভিযোগ ছিল, এই বাঁধ তৈরি করে পাকিস্তানের পানি আটকাতে চায় ভারত।

সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিতের পর সেই বাঁধ দিয়েই পানি আটকানো হলো। তবে কতক্ষণের জন্য এই জল আটকানো হয়েছে, ভবিষ্যতে কীভাবে এই বাঁধ ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে নয়াদিল্লির, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

কিছু দিন আগে বিতস্তার পানি ছেড়েছিল ভারত। তাতে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের একাংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তখন ইসলামাবাদ অভিযোগ করেছিল, ভারত না জানিয়ে কোনও সতর্কবার্তা ছাড়াই পানি ছেড়েছে। ফলে নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার সময় পাননি।

গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের উপর বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনা ঘটে। তাতে মৃত্যু হয় ২৬ জনের। সেই ঘটনায় তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে ভারত। এর মধ্যে সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত অন্যতম। এজন্য ভারতে পারমাণবিক হামলার হুমকিও দিয়েছে পাকিস্তান। যদিও পাকিস্তান প্রথম থেকেই পেহেলগামের ঘটনার দায় বা সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে এসেছে।