ঢাকা শনিবার, ১০ মে, ২০২৫

পাকিস্তানের হামলায় ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১০, ২০২৫, ১১:৪৩ এএম
এস৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর দাবি, ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের আদমপুরে মোতায়েন এস-৪০০ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তারা ধ্বংস করেছে। পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, 'অপারেশন বুনিয়ান মারসুস' নামে সামরিক অভিযানের আওতায় এই হামলা চালানো হয়। 

পাকিস্তান বিমান বাহিনী হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান থেকে এস-৪০০ সিস্টেমে আঘাত হানে।

এস-৪০০ একটি রাশিয়ান তৈরি দূরপাল্লার মোবাইল বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ভারত ২০১৮ সালে ৫.৪৩ বিলিয়ন ডলারে এটি ক্রয় করে। এই সিস্টেম একসঙ্গে ৩৬টি লক্ষ্যবস্তুতে ৭২টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করতে পারে এবং ৬০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্য শনাক্ত করতে সক্ষম। 

ভারত ইতোমধ্যে পাঞ্জাব, সিকিম ও রাজস্থান-গুজরাট সীমান্তে তিনটি স্কোয়াড্রন মোতায়েন করেছে। বাকি দুটি স্কোয়াড্রনের ডেলিভারি ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা।

পাকিস্তানি সামরিক সূত্র আরও দাবি করেছে, ভারতের বিযাসে অবস্থিত ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র গুদামঘরও ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া উদমপুর, আদমপুর, সুরতগড় ও পাঠানকোটের বিমানঘাঁটিগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। 

নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের 'ফাতাহ-২' মিসাইল সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি করেছে।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এখনও পাকিস্তানের এই দাবির বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে, এই হামলার পর সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল উভয় দেশকে সংযম প্রদর্শন এবং উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে।

উল্লেখযোগ্য তথ্য:

# এস-৪০০ সিস্টেমের মোতায়েন ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
# পাকিস্তানের 'ফাতাহ-২' মিসাইলের আঘাতে ভারতের সামরিক স্থাপনাগুলোতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে।
# ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া এখনও পাওয়া যায়নি।
# আন্তর্জাতিক মহল উভয় দেশকে সংযম প্রদর্শন এবং উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে।

পাকিস্তানের এই হামলা ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে। যদিও ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহল উভয় দেশকে সংযম প্রদর্শন এবং উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে।