২০২৫ সালের শুরুতেও প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব লেস্টার সিটির খেলোয়াড় ছিলেন হামজা চৌধুরী। তবে জানুয়ারির শেষ দিকে ধারে যোগ দেন ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডে।
ছয় মাসের এই মেয়াদে দারুণ খেলেই নজর কেড়েছেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।
বাংলাদেশি ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহের বড় কারণ, হামজা এখন বাংলাদেশের জাতীয় দলের একজন। গত মার্চে লাল–সবুজ জার্সিতে অভিষেকেই মন জয় করে নিয়েছেন ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া ২৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
চ্যাম্পিয়নশিপ ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় স্তরের লিগ হলেও এখান থেকে তিনটি দল প্রতি মৌসুমে উঠে যায় প্রিমিয়ার লিগে। ঠিক তেমনই একটি সুযোগের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে হামজার দল শেফিল্ড ইউনাইটেড।
চলতি মৌসুমে লেস্টার সিটির অবস্থা খুবই করুণ। ৩৫ ম্যাচে জয় মাত্র ৫টি, পয়েন্ট মাত্র ২১। আগামী মৌসুমে লেস্টার খেলবে চ্যাম্পিয়নশিপে।
হামজা যেহেতু লেস্টারেরই খেলোয়াড়, ধারের মেয়াদ শেষে তার ফিরেও যেতে হতে পারে সেখানে।
তবে শেফিল্ড চাইলে হামজাকে স্থায়ীভাবে দলে নিতে পারে। এই সিদ্ধান্ত অনেকটাই নির্ভর করছে দলটি প্রিমিয়ার লিগে উঠতে পারবে কি না, তার ওপর।
শেফিল্ড ইউনাইটেড লিগ শেষ করেছে ৯০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থেকে। তাই তারা খেলছে প্রিমিয়ার লিগে ওঠার প্লে–অফে।
প্রথম লেগে ব্রিস্টল সিটিকে ৩–০ গোলে হারিয়ে অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থানে আছে তারা। দ্বিতীয় লেগে ২ গোল ব্যবধানে হারলেও ফাইনালে উঠবে শেফিল্ড।
প্রিমিয়ার লিগে ওঠার লড়াইয়ে ২৪ মে ওয়েম্বলিতে মুখোমুখি হবে সান্দারল্যান্ড বা কভেন্ট্রি সিটির। যদি কোনো কারণে শেফিল্ড প্রিমিয়ার লিগে উঠতে না পারে, তাহলে হামজা চৌধুরীকে চ্যাম্পিয়নশিপেই খেলতে হবে, যদি না প্রিমিয়ার লিগের কোনো দল দলে ভেড়ায়।
কোচ ক্রিস ওয়াইল্ডারের অধীনে নিয়মিত খেলা হামজাকে ধরে রাখার সম্ভাবনাও থাকবে। কারণ, লিগে ওঠার পর ক্লাবগুলোর বাজেট বাড়ে, খেলোয়াড় ধরে রাখার ও নতুন খেলোয়াড় নেওয়ার ঝোঁকও বাড়ে।
প্রসঙ্গত, ২০২২–২৩ মৌসুমে ওয়াটফোর্ডে ধারের সময়ও হামজাকে কোচিং করিয়েছেন ওয়াইল্ডার। সেই পরিচয় থেকেই এবার শেফিল্ডে এনেছেন তাকে এবং নিয়মিতই খেলাচ্ছেন।
ব্রিস্টলের বিপক্ষে সেমিফাইনালের প্রথম লেগেও পুরো ৯০ মিনিট খেলেছেন হামজা।
সবমিলিয়ে শেফিল্ড ইউনাইটেড প্রিমিয়ার লিগে উঠলে হামজা চৌধুরীর ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
আর বাংলাদেশের সমর্থকদের জন্যও এটি হতে পারে এক গর্বের অধ্যায়।