ঢাকা মঙ্গলবার, ০৬ মে, ২০২৫

প্রকাশ্যে নারীকে গালি দেওয়ায় হেফাজতকে ছয় নারীর লিগ্যাল নোটিশ

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৫, ০৬:১৮ পিএম
এনসিপির নেত্রী সৈয়দা নীলিমা দোলা, দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী, নীলা আফরোজ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব উম্মে রায়হানা, উম্মে ফারহানা, ক্যামেলিয়া শারমিন চূড়া এবং হেফাজতে ইসলামীর লোগো। ছবি: সংগৃহীত

প্রকাশ্যে নারীকে গালি দেওয়ার কারণে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন ছয় নারী।

তাদের তিন জন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেত্রী। বাকি তিন নারী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।

সোমবার (৫ মে) দুপুরে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।

বিষয়টি রূপালী বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন এনসিপির নেত্রী সৈয়দা নীলিমা দোলা। 

এর আগে গত শুক্রবার (২ মে) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে হেফাজতের ইসলামের এক বিক্ষোভ সমাবেশে দলটির এক নেতা নারীকে গালি দেন।  

ওই গালির প্রেক্ষিতেই লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন এনসিপির নেত্রী সৈয়দা নীলিমা দোলা, দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী ও নীলা আফরোজ, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব উম্মে রায়হানা, উম্মে ফারহানা ও ক্যামেলিয়া শারমিন চূড়া।

লিগ্যাল নোটিশটির বিষয়ে এনসিপি নেত্রী সৈয়দা নীলিমা দোলা রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘পাবলিক প্লেসে নারীকে বেশ্যা বলার কারণে আমরা নোটিশটি পাঠিয়েছি। অ্যাডভোকেট পলাশের মাধ্যমে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, কালকে তারা (হেফাজতে ইসলাম) নোটিশটি পেয়ে যাবে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ সবার। সরকার যে নারী সংস্কার কমিশন গঠন করেছে, এই নিয়ে দ্বিমত থাকতে পারে। এটা আমার, আপনার থাকতে পারে, বিএনপির থাকতে পারে, জামায়াতের থাকতে পারে, এনসিপির থাকতে পারে, হেফাজতেরও থাকতে পারে।’

‘কিন্তু সেটা নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা হতে পারে। দশ-পনেরো হাজার মানুষ জড়ো করে কোনো নারীকে বেশ্যা বলা এবং তা স্বীকৃতি দেওয়া যায় না। এতে নারীর সম্মান ব্যাহত হয়। এ কারণেই লিগ্যাল নোটিশটি পাঠিয়েছি।’

নারী সংস্কার কমিশনের কথা তুলে ওই গালি দিয়েছিলেন হেফাজত নেতা। নোটিশদাতারা বলছেন, ‘নারীদের প্রতি এই ধরনের নিপীড়নের সুযোগ নতুন বাংলাদেশে নেই। বিশেষ করে জুলাই অভ্যুত্থানের পর সেই সুযোগ একেবারেই থাকছে না।’

জুলাই অভ্যুত্থানে নারীর অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজেই নতুন বাংলাদেশ সবার হবে- এই আশাবাদও ব্যক্ত করেন নোটিশদাতারা। 

তারা আরও বলেন, ‘সরকারের প্রস্তাবনায় যারা নারী সংস্কার কমিশন গঠন করতে গিয়েছেন এবং কাজ করেছেন, তাদের এ ধরনের অপমান বাংলাদেশের নারীদের জন্য ভয়ংকর। নারীর স্বাধীনতা এবং জীবনমানের ওপর যে প্রস্তাবনা বানানো হয়েছে, সেটি নিয়ে দ্বিমত পোষণের সুযোগ থাকছে, কিন্তু গালি দেওয়ার সুযোগ নেই।’

হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আওয়ামী সংশ্লিষ্টতার কথাও তুলে ধরেছেন নোটিশদাতা নারীরা।

আওয়ামী-সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল কীভাবে এ ধরনের পাবলিক সমাবেশ করে এ ব্যাপারেও লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।