টানা তিন দিনের সীমান্ত সংঘর্ষের পর যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মত হয়েছে পাকিস্তান ও ভারত। শনিবার (১০ মে) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
তিনি বলেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য সক্রিয় কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় তিন ডজন দেশ জড়িত ছিল। তিনি দেশগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন, বিশেষ করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন।
ইসাহাক দার আরও বলেন, ‘পাকিস্তান সর্বদা তার সার্বভৌমত্বের সাথে আপস না করে আঞ্চলিক শান্তির জন্য কাজ করেছে’।
এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতও। দেশটির পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি শনিবার সন্ধ্যায় মাত্র এক মিনিটের সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আজ বিকেল পাঁচটা থেকে ভারত ও পাকিস্তান সব ধরনের সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
বিক্রম মিশ্রি আরও বলেন, ‘এই সমঝোতা কার্যকর করার জন্য উভয় পক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সামরিক অভিযানের মহাপরিচালকরা ১২ মে দুপুর ১২টায় আবার কথা বলবেন।’
ভারতের ‘অপারেশ সিঁদুর’ শুরুর পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে। এদিন সকাল থেকে ‘হেভি শেলিং’ চলেছে জম্মু ও কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ অংশে।
বিভিন্ন জায়গায় দাবি করা হচ্ছে, ভারতের তিন ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে পড়েছে পাকিস্তানের তিন এয়ারবেসে। যদিও সরকারিভাবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে পাকিস্তানও দাবি করেছে যে, তারা শুক্রবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ভারতের তিনটি বিমানঘাঁটি উড়িয়ে দিয়েছে। তবে ভারতও তা এখন পর্যন্ত সরাসরি স্বীকার করেনি।
এমন পরিস্থিতিতে আজ নিজ বাসভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে ছিলেন ভারতীয় সেনার তিন বাহিনীর প্রধানরা, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।