যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করার পর থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রায় প্রতিদিনই ভারত নিয়ে মুখ খুলছেন।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি নিয়ে, ভারতের উপর আরোপিত বাণিজ্য শুল্ক কমানো, অ্যাপলকে ভারতে আইফোন না বানানোর পরামর্শ দিয়ে প্রতিনিয়ত মন্তব্য করছেন ট্রাম্প। এজন্য প্রায় প্রতিদিনই ভারত সরকারকে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির সংবাদ উভয় রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী বা সরকার অথবা প্রতিরক্ষা বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আসেনি বরং এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের তরফ থেকে। তার সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোস্যালে এই ঘোষণা করেন তিনি। তারপর থেকে নিয়মিত এই যুদ্ধবিরতির কৃতিত্ব ট্রাম্প নিজেকে দিচ্ছেন এবং একাধিক মন্তব্য করেছেন।
ট্রাম্প প্রথমে ট্রুথ সোশ্যালে বলেছিলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া এক রাতের আলোচনার পর আমি খুবই আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, ভারত ও পাকিস্তান অবিলম্বে সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা বাস্তববোধ ও বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়েছে বলে দুই দেশকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ ট্রাম্পের এই বার্তার পর ভারত, পাকিস্তান এবং গোটা বিশ্ব জানতে পারে যুদ্ধবিরতি হয়েছে।
কাশ্মীর সমস্যা হাজার বছর ধরে চলছে যদিও এমন তথ্য ট্রাম্প কোথা থেকে পেয়েছেন তা জানাননি। এরপর ট্রাম্প জানান, বাণিজ্য বন্ধের হুমকি দিয়ে তিনি দুই দেশকে সংঘাত থামাতে বাধ্য করেন। এরপরেও ট্রাম্প থামেননি। তিনি বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সমস্যা ভয়াবহ হচ্ছিল। রোজ নানা ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র দেখা যাচ্ছিল। আমরা তা মিটিয়েছি। আমরা বলছি, এসো বাণিজ্য করা যাক।’
লোকসভার বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে দাবি করেছেন, ‘সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হোক। সেখানে পেহেলগাম, অপারেশন সিঁদুর এবং যুদ্ধবিরতি যা প্রথমে ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তা নিয়ে আলোচনা হবে। সব বিরোধী দল এটাই চাইছে।’
ট্রাম্পের মন্তব্যে সূত্রপাত হওয়া এই ঘটনাপ্রবাহে যেন একপ্রকার ‘বেকায়দায়’ ভারত।
আপনার মতামত লিখুন :