অবৈধ অভিবাসনে সহায়তার অভিযোগে ভারতীয় বিভিন্ন ভ্রমণ সংস্থার মালিক, প্রধান নির্বাহী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন।
সোমবার (১৯ মে) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলোতে কনসুলার অ্যাফেয়ার্স এবং ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি সার্ভিস প্রতিদিনই অবৈধ অভিবাসন, মানবপাচার এবং এর সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।’
এতে বলা হয়, ‘মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ভারতীয় এসব ভ্রমণ সংস্থার মালিক, নির্বাহী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে; যারা সচেতনভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনে সহায়তা করেছে। এ ধরনের মানবপাচার চক্র ভেঙে দিতে ভবিষ্যতেও ওয়াশিংটনের ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমাদের অভিবাসন নীতি কেবল বিদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে প্রবেশের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করার জন্যই নয়, বরং যেসব ব্যক্তি এই আইন লঙ্ঘন করে তাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনতে কাজ করে। এর মধ্যে অবৈধ অভিবাসনে সহায়তাকারীরাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।’
বিবৃতিতে বলা হয়, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মার্কিন নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন এবং নীতির বাস্তবায়ন করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ ছাড়া, এই ভিসা নিষেধাজ্ঞায় বৈশ্বিক এবং এমনকি যারা সাধারণত ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রামের আওতায় পড়েন, তারাও নিশানা হবেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের তাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন এরইমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার অবৈধ অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। সেই তালিকায় আছে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী ভারতীয়রাও। কিছুদিন আগে হাতে ও কোমরে রশি বেঁধে বিমানে তুলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতীয়দের ফেরত পাঠায় মার্কিন প্রশাসন।