শনিবার রাতে ইরান ও ইসরায়েল ফের একে অপরের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। তেহরানের শহরান তেল ডিপোতে ভয়াবহ আগুন লাগে ইসরায়েলি হামলার জেরে। একইসাথে তেলআবিব, জেরুজালেম ও হাইফায় বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা অঞ্চল। যুদ্ধের এই ঘূর্ণিতে এবার সরাসরি জড়িয়েছে যুক্তরাজ্য।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার ঘোষণা করেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিমানসহ সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো হচ্ছে। ইসরায়েলের পাশে অবস্থান নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের স্বার্থে আমি যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তুত।’
তবে ইরানের হুঁশিয়ারি: যদি কোনো পশ্চিমা দেশ ইসরায়েলের পক্ষে মাঠে নামে, তবে তাদের ঘাঁটিও হামলার লক্ষ্য হবে।
ইরান দাবি করে, এটি তাদের প্রতিশোধমূলক হামলার দ্বিতীয় ধাপ। পাল্টা ইসরায়েল জানায়, তেহরানের আকাশ তাদের নিয়ন্ত্রণে এবং নতুন করে হামলা হলে পুরো শহর ‘আগুনে পুড়িয়ে’ দেওয়া হবে।
এদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, উত্তরের এক বাড়িতে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে এক নারী নিহত ও অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
মধ্যরাতের হামলায় ‘লক্ষাধিক ইসরায়েলি বাংকারে ছুটে গেছে’ বলেও জানানো হয়। কিছুক্ষণ পর আশ্রয় ত্যাগের অনুমতি দিলেও আতঙ্ক কাটেনি।
ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা শনিবার সকালে তেহরানে ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর ও পরমাণু কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছে।এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যকার নির্ধারিত পরমাণু আলোচনাও স্থগিত করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স, এএফপি, ফিনান্সিয়াল পোস্ট।
আপনার মতামত লিখুন :