শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৫, ০৫:১২ পিএম

কিমের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, মামলা গড়াচ্ছে আইসিসিতে

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৫, ০৫:১২ পিএম

উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। ছবি- সংগৃহীত

উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। ছবি- সংগৃহীত

উত্তর কোরিয়ার পক্ষত্যাগী এক নারী দেশে আটক থাকাকালে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অভিযোগ এনে দক্ষিণ কোরিয়ায় কিম জং উনের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছেন।

চোই মিন-কিউং নামের ওই নারী ১৯৯৭ সালে উত্তর কোরিয়া থেকে চীনে পালিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ২০০৮ সালে তাকে জোরপূর্বক দেশে ফেরত পাঠানো হয়। তিনি বলেন, ফিরে আসার পর তাকে শারীরিক ও যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল।

শুক্রবার যখন তিনি সিউলে মামলা দায়ের করবেন, তখন এটিই হবে প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ায় জন্মগ্রহণকারী কোনো পক্ষত্যাগী শাসকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন, মিস চোইকে সহায়তাকারী দক্ষিণ-ভিত্তিক একটি অধিকার গোষ্ঠী জানিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার আদালত অতীতে দক্ষিণ কোরিয়ানদের অনুরূপ দাবির ভিত্তিতে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে কিন্তু এই ধরনের রায় মূলত প্রতীকী এবং পিয়ংইয়ং কর্তৃক উপেক্ষা করা হয়েছে।

এর বিচার চেয়ে শুক্রবার সিউলে মামলা করার কথা তার। মামলা হলে সেটি হবে উত্তর কোরীয় শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়ায় জন্ম নেওয়া প্রথম কোনো পক্ষত্যাগীর মামলা, চোইকে সহায়তা করা দক্ষিণ কোরীয়-ভিত্তিক এক মানবাধিকার গোষ্ঠীর বরাত দিয়ে এ কথা জানিয়েছে বিবিসি

দক্ষিণ কোরিয়ার আদালতগুলো অতীতে দক্ষিণ কোরীয়দের করা একই ধরনের মামলায় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে রায় দিলেও সেগুলোর প্রতীকী গুরুত্ব ছাড়া আর কোনো মূল্য ছিল না, পিয়ংইয়ংও সেগুলোকে কখনো পাত্তা দেয়নি।

চোইয়ের মামলায় কিমের পাশাপাশি পিয়ংইয়ংয়ের আরও চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে।

পক্ষত্যাগী এই উত্তর কোরীয়কে সহায়তা করা গোষ্ঠী ডাটাবেজ সেন্টার ফর নর্থ কোরিয়ান হিউম্যান রাইটস (এনকেডিবি) জানিয়েছে, তারা এ মামলা জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও (আইসিসি) নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।

বুধবার (৯ জুলাই) এনকেডিবির দেওয়ার বিবৃতিতে চোই বলেছেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে কামনা করছি যেন এই ছোট্ট পদক্ষেপটি স্বাধীনতা ও মানব মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটি ভিত্তি হয়ে উঠতে পারে, যাতে আর কোনো নিরীহ উত্তর কোরীয় নাগরিককে এই নির্মম শাসনের অধীনে নির্যাতন ভোগ করতে না হয়।’

‘উত্তর কোরীয় শাসনব্যবস্থার অধীনে নির্যাতিত ও জীবিত সাক্ষী হিসেবে আমার কাঁধে একটি গভীর ও জরুরি দায়িত্ব রয়েছে, সেটি হলো—কিম পরিবারকে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য জবাবদিহির আওতায় আনা।’

চোই ২০১২ সালে ফের উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে যান এবং দক্ষিণে থিতু হন। তিনি বলছেন, নির্যাতনের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মানসিক ক্ষত এখনও রয়ে গেছে এবং তাকে এখনও ওষুধের ওপর চলতে হচ্ছে।

বিবিসি লিখেছে, বছরের পর বছর ধরে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নানান অভিযোগ নথিভুক্ত করে আসছে। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক বন্দিদের ওপর নির্যাতন থেকে শুরু করে জেন্ডার ও শ্রেণিভিত্তিক পদ্ধতিগত বৈষম্য।

এনকেডিবির নির্বাহী পরিচালক হান্না সং বলেছেন, চোইয়ের মামলা গুরুত্বপূর্ণ, কেননা এখানে দেওয়ানি অভিযোগের পাশাপাশি ফৌজদারি অভিযোগও আনা হচ্ছে।

আগে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে মামলাগুলো কেবল ‘দেওয়ানি ক্ষতিপূরণ’ চাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, বলেছেন তিনি।

২০২৩ সালে সিউলের একটি আদালত উত্তর কোরিয়াকে তিন দক্ষিণ কোরীয় পুরুষের প্রত্যেককে পাঁচ কোটি ওন করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কোরীয় যুদ্ধের সময় যুদ্ধবন্দি হিসেবে উত্তর কোরিয়ায় নিয়ে যাওয়ার পর এ তিনজন শোষণের শিকার হয়েছিলেন বলে পরে অভিযোগ করেন তারা।

গত বছরও ৫ কোরীয়-জাপানি পক্ষত্যাগীর প্রত্যেককে ১০ কোটি ওন করে ক্ষতিপূরণ দিতে উত্তর কোরিয়ার সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ১৯৬০ ও ১৯৮০-র দশকে একটি প্রত্যাবাসন প্রকল্পের আওতায় জাপান থেকে যে হাজার হাজার লোক উত্তর কোরিয়ায় ফেরেন, তাদের মধ্যে এ পাঁচজনও ছিলেন।

কয়েক দশক আগে ‘স্বর্গের মতো জীবনের’ প্রলোভন দেখিয়ে উত্তর কোরিয়ায় নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে আটকে রাখা হয় ও জোর করে কাজ করানো হয় বলে অভিযোগ ছিল তাদের।

কোনো মামলা বা তার রায়ের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দেখায়নি উত্তর কোরিয়া।

তবে এসব রায় বাদীদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় মানসিক শান্তি এনে দিয়েছিল বলে মত হান্না সংয়ের।

সং বলেন, ‘জবাবদিহিতা নিয়ে এত বছরের কাজ থেকে আমরা এটা অনুধাবন করতে পারছি যে, নির্যাতনের শিকাররা কেবল আর্থিক ক্ষতিপূরণই চায় না, তারা স্বীকৃতিও চান। নিজেদের পক্ষে আদালতের রায় আসার অর্থ বিশাল। এটা তাদেরকে এই আশ্বাস দেয় যে, তাদের কাহিনী তাদের সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না, রাষ্ট্র স্বীকৃতি দিয়েছে এবং এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ইতিহাসে স্থান পেয়েছে।’

Shera Lather
Link copied!