শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৫, ১১:২৯ এএম

এবার যুক্তরাষ্ট্রকে দুই শর্ত দিল ইরান

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০২৫, ১১:২৯ এএম

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি- সংগৃহীত

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি- সংগৃহীত

সম্মান ও পারস্পরিক মর্যাদার ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় ফিরতে প্রস্তুত তেহরান। তবে তার আগে ওয়াশিংটনকে তাদের ভুল স্বীকার করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং আলোচনার সময় আর কোনো সামরিক হামলা চালানো হবে না এই নিশ্চয়তা দিতে হবে বলে জানিয়েছন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাকচি।

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) ফরাসি দৈনিক লে মনডেতে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।

সংবাদ মাধ্যমটিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৈয়দ আব্বাস আরাকচি বলেন, কূটনীতি একমুখী পথ নয়। যুক্তরাষ্ট্রই আলোচনার টেবিল ছেড়ে সামরিক আগ্রাসনের পথে গেছে। এখন তাদের দায়িত্ব নিতে হবে এবং আচরণে পরিবর্তন আনতে হবে।

তিনি বলেন, কূটনৈতিক যোগাযোগ সব সময়ই চলমান ছিল এবং বর্তমানে কিছু ‘বন্ধুত্বপূর্ণ দেশ’ বা মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে একটি ‘ডিপ্লোম্যাটিক হটলাইন’ গঠনের কাজ চলছে।

আরাকচি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের পর দেশটির ক্ষতিপূরণ চাওয়ার অধিকার রয়েছে।

তিনি বলেন, শুধু একটিমাত্র প্রোগ্রাম ধ্বংস করে একটি জাতিকে শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি ত্যাগে বাধ্য করা— এটা এক গুরুতর ভুল বিশ্লেষণ। এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা জ্বালানি, চিকিৎসা, কৃষি ও উন্নয়নের লক্ষ্য পূরণে কাজ করছিলাম।

আরাকচি বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর পর্যবেক্ষণে পরিচালিত হয় এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে। সেই প্রোগ্রামে কোনো অস্ত্রায়নের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি, যা আইএইএ বারবার নিশ্চিত করেছে।

তিনি বলেন, এই হামলা শুধু স্থাপনায় নয়— এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও পরমাণু অস্ত্র বিস্তাররোধ চুক্তির (এনপিটি) মূল ভিত্তির ওপর আঘাত।

আরাকচি সতর্ক করে বলেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেয় বা সামরিক হুমকি অব্যাহত রাখে, তাহলে যেকোনো সম্ভাব্য আলোচনার পথ বন্ধ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ১৩ জুন ইসরায়েল একটি ‘নিঃসন্দেহে আগ্রাসী ও উসকানিমূলক হামলা’ চালায়, যাতে ইরানের বহু উচ্চপর্যায়ের সামরিক কমান্ডার ও পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন। এরপর ২২ জুন, যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে এই আগ্রাসনে যোগ দেয় এবং জাতিসংঘ সনদ ও এনপিটি লঙ্ঘন করে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। ২৪ জুন, আন্তর্জাতিকভাবে একঘরে হয়ে পড়া ইসরায়েল একতরফাভাবে হামলা বন্ধ ঘোষণা করে, যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাধ্যমে প্রকাশ্যে জানানো হয়।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!